মেকানিকের ঘরে ডাক্তারের স্বপ্ন!
পরিবারের অভাব যাকে দমাতে পারেনি, পরিশ্রম আর অধ্যবসায় দিয়ে যে অর্জন করেছে ভাল ফলাফল তার নাম সাদিয়া খাতুন। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ঈশ্বরদীর ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতন থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে সে স্কুল, গ্রামবাসী ও পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
সাদিয়ার বাবা দুলাল হোসেন মেকানিকের কাজ করে স্বল্প উপার্জনের একজন নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। চার সদস্যের পরিবারের খরচ জোগান দিতে তিনি প্রতিনিয়ত হিমসিম খাচ্ছেন। তার উপর মেয়ের লেখাপড়া ও প্রাইভেট পড়ানোর খরচ নির্বাহ করতে বেশ কষ্টই হয়েছে দুলাল হোসেনের। ছোট সন্তানটিও লেখাপড়া করে। নিজের কষ্টের জীবন উপলব্ধি করে তিনি সন্তানদের লেখাপড়া করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। কিন্তু সাদিয়ার ভবিষ্যত লেখাপড়া নিয়ে তিনি চিন্তিত।
সাদিয়া ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু তার এ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে কিনা এ চিন্তা তাকে ভাবিয়ে তুলেছে। বাবার স্বল্প আয়ও তার ভাবনার অন্যতম কারণ।
ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক জানান, সাদিয়া মেধাসম্পন্ন একজন শিক্ষার্থী। সে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জীবনে অনেক বড় হবে।
এসএস/এমএস