ঈদের দিন খাবার পাব কিনা জানি না

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৭

ভয়াবহ বন্যায় পাল্টে গেছে গ্রামগুলোর চিত্রপট। চারপাশে শুধু তছনছের চিত্র। ঈদের অনন্দ নেই হাজারো বানভাসির।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, দু’দিন বাদেই ঈদ। ছোট্ট শিশুটির চোখেমুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। ফর্সা মুখটিও দেখাচ্ছে কালো। কোনো দিকে না তাকিয়ে খালি গায়ে সড়কে বসে ভাত রাঁধছে আনমনে। হয়তো পেটে তাগাদা দিচ্ছে ক্ষুধা, তাই দ্রুত চুলায় জ্বাল ঠালছে, চুলো জ্বলছে দাউদাউ করে। শিশুটির নাম সোহাগী।

সোহাগীর (৯) সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পরণের জামাও পানিতে ভেসে গেছে। বাবা বলেছে এবার ঈদে নতুন জামা কিনে দেবে না।

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার নিজ গড্ডিমারী গ্রামের ছকের আলী ও রাশেদা বেগমের মেয়ে সোহাগী। সোহাগী নিজ গড্ডিমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

jagonews24

বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় রাস্তার ধারে একটি টিনের চালা পেতে কোনোমতে তিন সন্তান নিয়ে বাস করছে সোহাগীর পরিবার। ত্রাণের চালেই চলে তাদের সংসার। মা রাশেদা বেগম ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে গেছেন ত্রাণ পাওয়ার আশায়। দিনমজুর বাবা ছকের আলী কাজ না পেয়ে ঘরে বসে দিন পার করছেন।

ছকের আলী বলেন, বন্যায় বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই এই সড়কে বাস করছি। কাজ কাম নাই। মেয়ের নতুন জামা কেনার টাকা পাব কই? ঈদের দিনে খেতে পারব কি না সেটাই কথা। এখন ত্রাণের চালেই একমাত্র ভরসা।

গড্ডিমারী ইউনিয়নে সড়কে আশ্রয় নেয়া লোকজনের অনেকে বলেন, গত কয়েকদিন তাদের কাটছে খোলা আকাশের নিচে। পরিবার-পরিজন নিয়ে রাত কাটছে পলিথিন বা পেপার গায়ে জড়িয়ে।

রবিউল হাসান/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।