এখনও অপ্রস্তুত বিসিক চামড়া শিল্প নগরী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাভার
প্রকাশিত: ০৪:২৪ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৭

আর একদিন পরই কোরবানির ঈদ। দেশের ট্যানারি শিল্পের প্রধান উপাদান কাঁচা চামড়ার প্রায় ৬০-৭০ শতাংশই আসে এসময়। গরু, খাসি, মহিষসহ প্রায় এক কোটির ওপরে চামড়া সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু কাঁচা চামড়ার এই চাপ সামলাতে এখনও অপ্রস্তুত সাভারের বিসিক চামড়া শিল্প নগরী।

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে পরিবেশ বাঁচাতে হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তর করা হচ্ছে চামড়ার কারখানাগুলো। কিন্তু সাভারে স্থানান্তরের পরও পরিবেশর জন্য মোটেও উপযোগী নয় কারখানাগুলো। বরং সেখানেও পরিবেশের ক্ষতি করছে এই শিল্প।

সাভারের ট্যানারি নগরীতে ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৭০টি কারখানা চালু হলেও বাকিগুলো এখনও চালু হয়নি। অনেকে পায়নি বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ। আবার অনেকেই এখনও অবকাঠামো নির্মাণ শুরুই করেনি। কারখানাগুলোর এমন অবস্থার প্রেক্ষাপটে এবার হয়তো অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই চামড়া কেনা থেকে বিরত থাকবেন।

jagonews24

বিসিকের পরিকল্পনা মতে, কারখানাগুলোর বর্জ্য পরিশোধে বেশ কিছু স্থাপনার নির্মাণের কথা উল্লেখ থাকলেও এখনও এসব নির্মাণ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র সিইটিপি নির্মাণ হলেও ৪টি অংশের মধ্যে মাত্র ২টি অংশ চালু হয়েছে এটির।

ফলে চামড়া শিল্পের ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে স্থানীয় গ্রামগুলোতে। চামড়া শিল্পকে বিষফোড়া হিসেবে দেখছেন পার্শ্ববর্তী ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দারা।

আধুনিক এই শিল্পাঞ্চলটিতে সড়কেরও বেহাল দশা। এতে ব্যাহত হচ্ছে মালামাল পরিবহন। দোকানপাট, বাসস্থান ও স্কুল কলেজ স্থাপন না করায় বিপদে আছেন হাজারীবাগ থেকে আসা শ্রমিরা।

jagonews24

ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার শ্রমিকদের হাজারীবাগ থেকে সাভারে নিয়ে এসেছেন তা পূরণ হয়নি। বরং এখানে শ্রমিকরা আরও অসুবিধায় পড়েছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে কাজ করার জন্য শ্রমিক পাবে না মালিকরা।

পরিবশে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল হকের কার্যালয়ে যাওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আল-মামুন/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।