স্টেশন মাস্টারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৭

সিরাজগঞ্জ ও উল্লাপাড়ায় রেলওয়ের টিকিট বিক্রি, টিকিট রিফান্ডের ও বাতিলের অর্থ আত্মসাৎ লোকাল সার্ভারের তারিখ ও সময় পরিবর্তন করে প্রতারণার মাধ্যমে কালোবাজারে রেলওয়ের টিকির বিক্রির অভিযোগে স্টেশন মাস্টারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পাবনার দুর্নীতি দমন সমন্বিত কার্যালয়।

মঙ্গলবার বিকেলে দুদক পাবনার পক্ষে সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের সাবেক বুকিং সহকারী গ্রেড-২ (চাকরিচ্যুত) মো. রোকনুজ্জামান মিলন (৩৫), অবসরপ্রাপ্ত বুকিং সহকারী মারিক চাঁদ (৬২) সাবেক বুকিং সহকারী গ্রেড-২ শেখ আশরাফুজ্জামান (৩৫), সাবেক বুকিং সহকারী গ্রেড-২ (বর্তমানে পোড়াদহ জংশন, মিরপুর, কুষ্টিয়া) মো. হাফিজুর রহমান (৩০), সাবেক স্টেশন মাস্টার গ্রেড -২, বর্তমানে শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন খান মো. মনিরুজ্জামান (৫৬) ও নাটোর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত (সাবেক ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার সিএনএস লি.) মো. রেজওয়ান আহমেদ (রিজন) (৪২)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, অভিযুক্তরা ২০১০ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ২০ মে সময়ে কম্পিউটারাইজড টিকেট ইস্যুর ক্ষেত্রে ১০ দিনের বেশি অগ্রিম টিকেট ইস্যুর বিধান না থাকা সত্ত্বেও প্রতারণার মাধ্যমে লোকাল সার্ভারের তারিখ ও সময় পরিবর্তন করে ২৯১৪টি অগ্রিম টিকেট ইস্যু করায় ও টিকেট বিক্রয়ের ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৬৫ টাকা সরকারি খাতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।

অন্যদিকে উল্লাপাড়া স্টেশনে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত দেশে হরতালজনিত কারণে ট্রেন সিডিউলে বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন স্টেশনে টিকেট রিফান্ড হয়েছে।

২০১৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত উল্লাপাড়া স্টেশন হতে ১৪০৭ টি টিকেট রিফান্ড হয় ও ১০৪১টি টিকেট বাতিল হয়।

পাশাপাশি ২০১৩ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর ২০১৩ পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বুকিং সহকারীগণ নিজ নিজ আইডি ব্যবহার করে প্যাসেঞ্জারের ক্যানসেল ও রিফান্ড টিকেটের মূল্য বাবদ মোট ৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৪২ টাকা দাফতরিক দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে বিক্রয় দেখান ও রিফান্ড করেন এবং রিফান্ড টিকেটের প্যাসেঞ্জার কপি ও রেকর্ড কপি গোপন করে রিফান্ডের ওই সব টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া একই স্টেশনে টিকিটের মূল্য বাবদ ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় পাবনার উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তি আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।