বন্যার প্রভাব খাগড়াছড়ির পশুহাটেও
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র চারদিন। ইতোমধ্যেই মানুষের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে ঈদ। কিন্তু দেশের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার প্রভাব খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পশুর হাটেও পড়েছে। খাগড়াছড়ির ছোট-বড় ১৫টি পশুহাটে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা দেশি গরুর ব্যাপক সমাগম ঘটলেও স্থানীয় কৃষক থেকে শুরু করে প্রান্তিক খামারিরা ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ।
ঈদকে সামনে রেখে দেশি জাতের গরু বাজারে তুলেও কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছে না খাগড়াছড়ির প্রান্তিক চাষি ও খামারিরা। ছোট আকারের গরুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া গেলেও মাঝারি ও বড় আকারের গরুর দাম একেবারেই কম। ফলে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিনের আশায় যেন গুড়ে বালি পড়েছে বিক্রেতাদের।
তবে গরুর কম দামে বিক্রেতারা হতাশ হলেও বেজায় খুশি স্থানীয় ও সমতলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্রেতারা। খাগড়াছড়ির গুইমারা, ডাকবাংলা, গুমতি ও মাটিরাঙার পশুহাট ঘুরে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
খাগড়াছড়ির গুইমারা বাজারে গরু বিক্রি করতে আসা মংপ্রু মারমা জানান, গেল বছর কোরবানির পশুর হাটের তুলনায় এবছর সমতল থেকে ক্রেতা বেশি আসলেও দাম পাওয়া যাচ্ছে না। কষ্ট করে গরু কোরবানির উপযোগী করলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ এ প্রান্তিক কৃষক।
এদিকে বেশি দাম পাওয়ার আশায় হাট বদল করলেও দাম আরো কমে গেছে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাটিরাঙার স্থানীয় গরু বেপারী মো. দুলাল হোসেন।
সব মিলিয়ে গত বছরের তুলনায় এবছর কোরবানির পশুর দাম কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে খাগড়াছড়ির প্রান্তিক চাষি ও খামারিরা। ফলে চরম হতাশা ঘিরে ধরেছে বিক্রেতাদের। আবার অনেকেই কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে হতাশ হয়েই গরু নিয়ে ঘরে ফিরছেন।
অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর কোরবানির পশুর দাম কম হওয়ার জন্য অনেকেই দেশের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধসকে দায়ী করলেও এমন যুক্তি মানতে নারাজ খাগড়াছড়ির প্রান্তিক চাষি ও খামারিরা। খাগড়াছড়ির প্রান্তিক খামারি সাক্কু মনি চাকমা মনে করেন দর-পতন ক্রেতাদের সৃষ্ট। সমতল থেকে আসা পাইকারদের পিছুহটো নীতির কারণেই কাঙ্ক্ষিত দাম পায়নি বিক্রেতারা এমন অভিযোগ তার।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/জেআইএম