বঙ্গোপসাগরে ৪০ জেলে অপহরণ
বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত জেলেদের ট্রলারে কয়েক দফা হানা দিয়ে একটি মাছ ধরা ট্রলারসহ ৪০ জেলেকে অপহরণ করেছে ‘পুলিশ বাহিনীর’ বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ব্যবসায়ীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন এ বনদস্যু ‘পুলিশ বাহিনী’ কারা সে সম্পর্কে কোনো কিছু জানাতে পারেনি ফিরে আসা জেলেরা। তবে ‘পুলিশ বাহিনীর’ পরিচয়ে নতুন এ দস্যু বাহিনী প্রত্যেক জেলে প্রতি দুই লাখ টাকা করে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ করে দাবি করেছে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, সাগরের ট্যাকদিয়া ও লালদিয়া এলাকায় পাথরঘাটা, মহিপুর ও শরণখোলার প্রায় অর্ধশত ট্রলারে জেলারা ইলিশ আহরণে নিয়োজিত ছিলেন। ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র দস্যু দল ট্রলারযোগে এসে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ট্যাকদিয়া ও লালদিয়ার চর এলাকায় মাছধরা ট্রলারে হানা দিয়ে ৪০ জেলেকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে দস্যুরা মহাজনদের কাছে মোবাইল ফোনে নিজেদের পুলিশ বাহিনী হিসেবে পরিচয় দেয়।
তিনি আরও জানান, দস্যুরা পাথরঘাটার নজরুল ইসলাম নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর এফবি মনিরা ট্রলারসহ ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করেছে। এদের মধ্যে ট্রলারের মাঝি ইউসুফ মিয়ার নাম জানা গেছে। এছাড়া শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী সুজন হাওলাদারের এফবি রিজিয়া ট্রলারের মাঝি কবির হোসেন ও সহকারী মাঝি এনামুলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃত অন্য জেলেদের নাম পরিচয় জানতে পারেননি তারা।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ জোন পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলে অপহরণের বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন বলে জানান।