যশোরে সহকারী জজের বিরুদ্ধে ফের মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০২:৪০ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৭

সাতক্ষীরা জজ আদালতের সহকারী জজ হারুন অর রশীদ ও এক বিবাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যশোর জুডিশিয়াল আদালতে আরও একটি মামলা হয়েছে। বিয়ের কাবিননামায় প্রতারণার মাধ্যমে জাল-জালিয়াতির অভিযোগে কেশবপুরের বুড়ুলিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে জবা খাতুন এ মামলা করেছেন।

মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কেশবপুরের বিচারক নুসরাত জাবীন নিম্মী অভিযোগটি গ্রহণ করে কাবিননামার প্রত্যায়িত কপি দাখিল সাপেক্ষে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

আসামিরা হলেন, খুলনা ডুমুরিয়ার মাগুরঘোনা গ্রামের আব্দুস সামাদ শেখের ছেলে সাতক্ষীরা জজ আদালতের সহকারী জজ হারুর অর রশীদ ও খুলনা পিটিআই মোড় এলাকার বিবাহ রেজিস্ট্রার হারুনার রশীদ ওরফে হারুন খান।

বাদী পক্ষের আইনজীবী রোকনুজ্জামান জানিয়েছেন, কেশবপুরের বুড়লিয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে জবা খাতুনকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশীদ বিয়ে করেন। বিয়ের কাবিননামায় জবা খাতুনকে প্রথম স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর সাতক্ষীরায় ভাড়া বাসায় কিছুদিন সংসার করার পর হারুন অর রশীদ তার স্ত্রী জবাকে নিয়ে তার পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসেন।

১৭ মার্চ হারুন অর রশীদ জটিল সমস্যা নিরসনের কথা বলে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্ত্রী জবাকে রেখে চলে যান। মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে জবা খাতুন যশোর আদালতে আলাদা দুইটি মামলা করেন। এ মামলায় হারুন অর রশীদ আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেন। এসময় হারুন অর রশীদের দেয়া কাবিননামা জমা দেয় হয় আদালতে। তার সরবরাহকৃত কাবিননামার ২১ নম্বরের প্রথম স্ত্রীর তালাক হওয়ায় এ বিয়ে বলে উল্লেখ আছে। এদিকে জবা খাতুনের কাছে যে কাবিননামা আছে তাতে এমন কোনো কথা উল্লেখ নেই।

আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, কাবিননামার হাতের লেখা দেখে সন্দেহ হওয়ায় রেজিস্ট্রার হারুন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। চাওয়া হয় কাবিনের নকল কপি। রেজিস্ট্রার হারুন খান কোনো অবস্থায় কাবিননামার নকল সরবরাহ করেতে রাজি হননি। বিষয়টি সন্দেহের হওয়ায় জবা খাতুন আদালতে ফের মামলা করেছেন।

মিলন রহমান/এফএ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।