শহীদ মিনারে সাটোনো হয়েছে নির্বাচনী পোস্টার


প্রকাশিত: ০১:০১ পিএম, ০৪ জুন ২০১৫

আসন্ন ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শহীদ মিনারটি লিফলেট ও স্টিকারে ছেয়ে গেছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কিছু কিছু প্রার্থী এসব লিফলেট ও স্টিকার লাগিয়ে শহীদ মিনারের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে অনেকেই ধিক্কার জানিয়েছেন।

এ শহীদ মিনারের সামনেই জিল্লুর রহমান পৌর মিলনায়তন অবস্থিত। আগামী ১৫ জুন এ মিলনায়তনে ভৈরব চেম্বারের নির্বাচনী ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা তাদের প্রচারের জন্য ১২ দিন আগে গত বুধবার হঠাৎ করে শহীদ মিনারে এসব লিফলেট ও স্টিকার লাগিয়ে দখল করে নেন। ভৈরব শহরের কেন্দ্রবিন্দু পৌরসভা রোডে শহীদ মিনারটি অবস্থিত হওয়ায় এটি সকল পথযাত্রীদের নজরে পড়ে।

অনেকেই সমালোচনা করে বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ কাজটি করে তারা দেশ ও ভাষা সৈনিকদের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। এদেশে ভাষা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সারা দেশের মতো ভৈরবেও এ শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেছিলেন পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাড. ফখরুল আলম আক্কাছ।

এ ঘটনার ব্যাপারে অ্যাড. ফখরুল আলম আক্কাছ জাগো নিউজকে বলেন, যারা কাজটি করেছেন তারা নির্বোধের পরিচয় দিয়ে ভাষা সৈনিকদের প্রতি অবজ্ঞা করেছেন। তিনি বলেন, শুধু শহীদ মিনার নয় ভৈরবের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ `দুর্জয় ভৈরব` এ দেখা যায় অনেকেই ব্যানার, পোস্টার লাগিয়ে অশ্রদ্ধা করছেন। মনে হয় তাদের দেশ ও জাতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই।

ভৈরবের শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আতাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শহীদ মিনারে নির্বাচনী লিফলেট ও স্টিকার লাগানো ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

ভৈরব হাজী আসমত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ.ক.ম মোবারক আলী জাগো নিউজকে বলেন, চেম্বার নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে যারা কাজটি করেছেন তারা মাতৃভাষা ও দেশের ইতিহাসের প্রতি অশ্রদ্ধা করেছে। তিনি বলেন, ভাষা সৈনিকদের প্রতি চরম অবজ্ঞা ও অবহেলারই বহিঃপ্রকাশ এ ঘটনাটি।

ভৈরব পৌরসভার বর্তমান মেয়র হাজী মো.শাহিন জাগো নিউজকে বলেন, যেসব প্রার্থীরা এ কাজটি করেছেন তারা শুধু শহীদ মিনারকে নষ্ট করেননি, পৌরসভার গেইটসহ জিল্লুর রহমান মিলনায়তনটির সৌন্দর্য নষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের নির্বোধ প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের জন্য কাজটি করা মোটেও ঠিক করেননি।

ভৈরব চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব মো. হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমি দেখিনি। তবে প্রার্থীদের আমি বলে দেব যারা কাজটি করেছনে তারা যেন আজকের মধ্যেই তাদের লিফলেট ও স্টিকার নিজ দায়িত্বে শহীদ মিনার থেকে তুলে নেন।

ভৈরব চেম্বারে এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে দুজন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ৩ জন, সহ-সভাপতি পদে ২ জন ও ১৮টি পরিচালক পদে ৩১ জন প্রার্থী রয়েছেন। কতিপয় কিছু প্রার্থী এ কাজটি করলে গত দু`দিন যাবৎ ভৈরবে সমালোচনার ঝড় উঠে।

আসাদুজ্জামান ফারুক/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।