গোবরে পদ্মফুল, ঝিয়ের কাজ করে জিপিএ-৫


প্রকাশিত: ০৭:১৭ এএম, ০৪ জুন ২০১৫

মোমেনা আক্তার পড়াশুনার পাশাপাশি অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। ঝিয়ের কাজ করেও এনেছেন সফলতা। সংসারের অভাব-অনটন আর বাবার অসুস্থতার মাঝে অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা চালিয়ে গেছেন মোমেনা আক্তার। পরিবারে নুন (লবণ) আন্তে পান্তা ফুরায় তবুও দারিদ্র্যতার কাছে হার মানেননি।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় মোমেনা আক্তার হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে আবাক করে দিয়েছে। গরীবের ঘরে জন্ম নিয়ে পড়াশুনা করে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে মোমেনা। কিন্তু, মোমেনা কি পারবে এ অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে!

মোমেনা আক্তারের বাবা আব্দুল মোবারক জাগো নিউজকে জানান, তিস্তা নদীর হিংস্র থাবায় ঘর-বাড়ি হারিয়ে ৩ মেয়ে ১ ছেলেকে নিয়ে কয়েক বছর আগে হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামে এসে অন্যর জমিতে একটি খড়ের চালার ঘর পেতে কোন রকম জীবনযাপন শুরু করি। অভাবের তাড়নায় আশ্রয়দাতা দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামে আজগার হোসেন মাস্টারের বাড়িতে সপরিবার কাজ করি। বড় মেয়ে রেখা মনিকে ধারদেনা করে বিয়ে দিয়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। কোন কাজকর্ম করতে পারি না। আর ছেলে নাজমুল অন্যের মুদির দোকানে কাজ করে কোন রকমে সংসার চলে। ছোট মেয়ে মোরশেদা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে পড়ে।

সিংঙ্গীমারী পল্লীশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজগার হোসেন জাগো নিউজকে জানান, মোমেনার পরিবারকে আমি আশ্রয় দিয়েছি। সে আমার বাড়িতে কাজ করে পাশাপাশি পড়াশুনাও করে। তিনি আরো জানান, মোমেনা যে এতই মেধাবী আমার বাড়িতে কাজ করেও সে  জিপিএ-৫ পেয়েছে। আসলে সে আবাক করে দিয়েছে সকলকে।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।