লালপুরে পদ্মার পেটে ৪৫ মিটার সিসি ব্লক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৬:৩৯ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭

নাটোরের লালপুরে পদ্মার পানির তীব্র স্রোতে ৪৫ মিটার সিসি ব্লক ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নুরুল্লাপুর ও আকছেদ মোড় এলাকায় ৪টি পয়েন্টে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে। বাঁধ রক্ষার সিসি ব্লক ধসে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার ৬ গ্রাম। জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জানা গেছে, সিসি ব্লকের ধস শুরু হওয়ায় নটোরের লালপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী পালিদেহা, গৌরীপুর, নুরুল্লাপুর, লক্ষ্মীপুর, তিলকপুর ও নবীনগর গ্রাম হুমকীর মুখে পড়ছে। আর এজন্য এলাকার লোকজন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, নদীর তলদেশ থেকে বালি উত্তোলনের ফলেই সিসি ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে নদীতে ধসে পড়ছে।

এলাকাবাসীরা জানায়, পদ্মা নদীর লালপুর উপজেলার নবীনগর, লক্ষ্মীপুর, পালিদেহা ও গৌরীপুর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়ে থাকে। এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল এ কাজের সঙ্গে জড়িত। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বালু মহাল ইজারা না হলেও নদী থেকে বালু ও ভরাট উত্তোলন থেমে থাকে না। প্রতি বছরই নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, বালু মহাল নিয়ে মামলা থাকায় ২০০৯ সাল থেকে লালপুরের বালু মহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। এছাড়া পালিদেহা, নবীনগর, লক্ষীপুর এসব এলাকা বালু মহাল হিসেবে ঘোষণা হয়নি। ফলে ইজারা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ধসে পড়া বাঁধ পরিদর্শন করেছেন লালপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার।

নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, পদ্মানদীর লালপুর অংশে নদীর তীর রক্ষা সিসি ব্লকের ৪৫ মিটার ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে তা বড় ধরনের কোন সম্যসা নয়। জিও ব্যাগ দিয়ে বাকি ব্লকগুলো রক্ষার চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, সিসি ব্লকের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই মুহূর্তে ভয়ের কোনো কারণ নেই।

রেজাউল করিম/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।