বগুড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটল, নিরাপদে যেতে মাইকিং
বগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বুধবার দুপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানির অব্যাহত চাপের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ কারণে বন্যায় বাঁধের উপরে আশ্রয় নেয়া লোকজনকে বাঁধ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
সরেজমিনে বগুড়ার যমুনা নদী তীরবর্তী বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বগুড়া পরিচালন ও সংরক্ষণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪৫ কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বিআরই) বিভিন্ন পয়েন্ট হুমকির মুখে পড়েছে। ফাটল, ইঁদুরের গর্ত (র্যাটহোল) এবং দুর্বল অংশে পানি চুইয়ে (সিপেস) পড়ায় বাঁধ ক্রমশ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।
এ কারণে বাঁধের সারিয়াকান্দি অংশের উপর বসবাসকারী ১৩ হাজার পরিবার চরম আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার গোদাখালী, ইছামারা, রৌহাদহ, কুতুবপুর, শেখপাড়া, দীঘলকান্দি, হাটশেরপুর, পারতিতপরল এবং ধুনট উপজেলার শহরাবাড়ি ও ভান্ডারবাড়ী পয়েন্টে বাঁধের নাজুক অবস্থা।
লোকালয় অংশের (কান্ট্রি সাইড) চেয়ে নদীমুখ অংশের (রিভার সাইড) পানি প্রায় ৮ ফুট উচ্চতায় থাকায় ওই পয়েন্টে দুর্বল বাঁধ ভেঙে যে কোনো মুহূর্তে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাঁধের যে কোনো পয়েন্ট ভেঙে গেলে নদী তীরবর্তী সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলা ছাড়াও শেরপুর ও গাবতলী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
পাউবো বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অব্যাহতভাবে যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঁধ রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরএআর/আরআইপি