দিনাজপুরে বন্যায় ৮ শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু
দিনাজপুরে বন্যায় চার উপজেলায় ৮ শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ১ জন নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুপুর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৯০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমান জানান, বিরল উপজেলার বন্যায় পানিতে ডুবে ৫ জন ও সাপের কামড়ে ১ জন মারা গেছে। এরা হলেন- হাসিলা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে চুমকি (১৩), ছেলে শহিদ আলী (১০) ও সিয়াদ (৭), প্রতিবেশী সাঈদ হোসেনের ছেলে সিহাদ (৭), মালঝাড় এলাকার বাবলু রায়ের স্ত্রী দিপালী রায় (৩২), মালঝাড় এলাকার বাবলু রায়ের স্ত্রী দিপালী রায় (৩২)।
কাহারোল উপজেলায় একই পরিবারের ৪ শিশুসহ ৫ জন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। কাহারোল থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, রোববার বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলার ঈশ্বরগ্রাম থেকে নিজের তিন সন্তান ও প্রতিবেশী এক শিশুকে নিয়ে কলা গাছের ভেলায় চড়ে বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামে বাড়িতে যাচ্ছিলেন আব্দুর রহমানের স্ত্রী সোনাভান বেগম। এ সময় ভেলা উল্টে চার শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি। একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী ঢিবিপাড়া এলাকার মেহেদী হাসান (১৫), মির্জাপুর এলাকার আবু নাইম (১৩) ও সদরের দরবারপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৫৫) পানিতে ডুবে মারা যায়। নিখোঁজ রয়েছে একজন।
এছাড়াও বীরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন শিশু মারা গেছে বলে জানা গেছে।
বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা হিসাবে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকা ও ৩০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম ১৪ জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনী বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
এমদাদুল হক মিলন/জেএইচ