তিস্তার ব্যারেজ রক্ষা সড়ক ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০২:৩৮ এএম, ১৩ আগস্ট ২০১৭

প্রবল বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তার পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিশ্চিত করেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টায় তিস্তার পানির তোপে ব্যারেজ রক্ষা ফ্লাড বাইপাস সড়কটি ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এদিকে তিস্তা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিশেষ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।

তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়ায় শনিবার বিকেল থেকে দ্রুত বাড়তে শুরু করে তিস্তার পানি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

অপরদিকে লালমনিরহাটে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। তিস্তা, ধরলা, সানিয়াজান ও সিংঙ্গীমারী নদীর পানিও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে লালমনিরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভাসহ জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশাপাশি দহগ্রাম সড়কের কয়েক ফুট উপর দিয়েও প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। নদীর পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ডুবে যাচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

এরই মধ্যে পাটগ্রামের পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডসহ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী দহগ্রাম, বাউড়া, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, ফকিরপাড়া গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী, সিঙ্গীমারী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, কালীগঞ্জের ভোটমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, দুর্গাপুর, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা, রাজপুর, মোঘলহাট কুলাঘাট ও খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নদী বিধৌত এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

দোয়ানী এলাকার লাভলু মিয়া (৩০) জানান, তিস্তার পানি শুধুই বাড়ছে। পানির তোপে ফ্লাড বাইপাস সড়কটিক ভেঙে গেছে। এতে আরও কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।

রবিউল হাসান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।