নিজ বাড়িতেই আশ্রয় মিললো সেই মায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

অবশেষে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিজের বাড়িতেই আশ্রয় মিললো বৃদ্ধা রেনুয়া বেগমের (৭৫)। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শরীফ আহম্মেদ বৃদ্ধা রেনুয়া বেগমকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে যান। এ সময় তার ছেলে নুরুজ্জামন (৪৫) ভুল স্বীকার করে তার মায়ের কাছ থেকে জোর করে লিখে নেয়া জমি ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন।

একই সঙ্গে অনুশোচনা প্রকাশ করে নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রী শাহানাজ বেগম মা রেনুয়া বেগমের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে তাকে ঘরে তুলে নেন।

গত ৮ আগস্ট জাগো নিউজে ‘জমি লিখে নিয়ে মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিল ছেলে!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের সূত্র ধরে বিষয়টি নজরে আসে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের। পরে তাদের নির্দেশে গৌরনদী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মো. শরীফ আহম্মেদ অসহায় রেনুয়া বেগমকে খুঁজে বের করেন।

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শরীফ আহম্মেদ জানান, বৃদ্ধা রেনুয়া বেগমকে বাড়িতে নেয়ার পর ছেলে ও ছেলের বউ তার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে তাকে ঘরে তুলে নেন। আগামী সোমবারের মধ্যে মায়ের থেকে লিখে নেয়া জমি ফেরত দেয়ারও অঙ্গীকার করেন ছেলে নুরুজ্জামান।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের নাজিরপুর শংকরপাশা গ্রামের মৃত সেকান্দার সরদারের স্ত্রী রেনুয়া বেগম। তার ছেলে নুরুজ্জামান কয়েক বছর আগে কৌশলে তার মা রেনুয়া বেগমের দেড় বিঘা জমি নিজের নামে লিখে নেন। একই সঙ্গে তার গচ্ছিত ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর থেকে নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রী রেনুয়া বেগমের ওপর মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিলে বড় ছেলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

বিচার দেয়ার কারণে গত তিন মাস আগে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন-যাপন করেছিলেন। এ ব্যাপারে গত সোমবার ওই বৃদ্ধা তার ছেলে নুরুজ্জামান সরদারের বিরুদ্ধে গৌরনদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সাইফ আমীন/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।