সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৪:০৬ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৭

বাংলাদেশে আমদানিকৃত পেঁয়াজের মধ্যে সব থেকে বেশি পেঁয়াজ আসে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে। তবে গত এক সপ্তাহ আগেও যেখানে পেঁয়াজের দাম ছিল ১২-১৫ টাকা কেজি সেখানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ব্যবসায়ীদের ভাষ্য ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় বাজারেও প্রভাব ফেলেছে দামের।

পেঁয়াজ ক্রেতা সাদিকুর রহমান বলেন, এখানে এক সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ১২-১৫ টাকা কেজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেটা ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এখানে বাজারের কোনো মনিটরিং নেই। ঈদকে সামনে রেখে হয়ত ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

ভোমরা বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম হোসেন জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই ভারতের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে। সেই কারণে তার প্রভাবটা আমাদের দেশেও পড়েছে।

তবে ভোমরা কাস্টমস অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশে যত পেঁয়াজ আমদানি হয় তার অধিকাংশই আমদানি হয় ভোমরা বন্দর দিয়ে। পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে আমরা যতটুকু জানি, ভারতে নাসিক, পাটনা, ইউকিতে যে পেঁয়াজটা হয় সেটা অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের মূল্য এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২০ টাকার হাফডাউন হয়েছে। ফলে বাংলাদেশেও পেঁয়াজের বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

satkhira

তিনি আরো বলেন, দেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে অন্যান্য স্থল বন্দরের তুলনায় সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি ও রফতানি করা সহজ। ভারতীয় জিরো পয়েন্ট থেকে ভোমরার দূরত্ব মাত্র ৮৮ কিলোমিটার। খরচ কমে আমদানির সুযোগ পাওয়ায় ব্যবসায়ীরাও এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী।

ভোমরা স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে জানান, গত জুলাই মাসে এক হাজার ৭শ ৮২টি গাড়িতে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৩৫ হাজার ৬শ ৩৩ মেট্রিকটন। চলতি মাসের ৭ আগস্ট পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪শ ২৬ গাড়িতে ৮ হাজার ৫শ ৩২ মেট্রিক টন। আমদানির কোনো কমতি নেই। তবে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজের আমদানিতে কোনো শুল্ক-করাদি নাই। শুল্কমুক্ত সুবিধায় পেঁয়াজ ছাড় দেওয়া হয়।

আকরামুল ইসলাম/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।