নান্টুরে তুই আমাগো কোন সাগরে ভাসাইয়া গেলি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পিরোজপুর
প্রকাশিত: ০৪:৩০ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৭
ফাইল ছবি

ব্লগার নিলাদ্রি চট্টোপধ্যায় হত্যার দু’বছর পূর্ণ হলো আজ। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হতে পারেনি নিলয়ের পরিবার। নিলয়ের বৃদ্ধ বাবা তারাপদ চট্টোপধ্যায় ও মা অর্পনা রানীর চোখের জল শুকায়নি আজও। নিলয়ের মা আজও ডুকরে ডুকরে কাঁদেন আর চিৎকার করে বলেন, ‘ও নান্টু (নিলয়), নান্টুরে তুই আমাগো কোন সাগরে ভাসাইয়া গেলি, তোরে আর এ জনমে পামু না...’।

ছেলে হত্যার বিচার নিয়ে আজও ধোঁয়াশায় নিলয়ের পরিবার। পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তাদের স্বজনরা। তারা কোনোভাবেই জানতে পারছেন না মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে।

রোববার পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত জনপদ চলিশা গ্রামে নিলয়ের বাড়িতে গিয়ে জানা গেল, পরিবারের কেউই জানেন না ঢাকার খিলগাঁও থানায় দায়েরকৃত মামলার অগ্রগতি কী। নিলয়ের স্ত্রী দাবিদার আশামনি নামের একজন বাদী হয়ে ওই থানায় নাকি একটি মামলা করেছেন।

NILOY-MURDE

নিলয়ের ছোটবোন পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী জয়শ্রী চট্টোপধ্যায় (গাপা) ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমার দাদা বিয়েই করেনি, দাদা যদি বিয়ে করেই থাকে তবে সেতো (আশামনি) আমার দাদার মরদেহের সঙ্গে বাড়িতে আসতে পারত, তার গায়ে কেন রক্তের দাগ লাগেনি, দু’টি বছর কেটে যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে একবারের জন্যও হলেও ফোন করে কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। সে কী করে আমার ভাইয়ের স্ত্রী হয় ?

নিলয়ের বৃদ্ধ বাবা তারাপদ ও মা অর্পনা সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে ঢাকায় যেতে পারি না। সরকার যদি ব্যবস্থা করে দেন আমরা ছেলে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে নতুন করে পিরোজপুরে মামলা করতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট শুক্রবার ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় নিজ বাসায় দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে খুন হন পিরোজপুরের মেধাবী ছাত্র ব্লগার নীলাদ্রী চট্টোপাধ্যায় নিলয় ওরফে নান্টু।

হাসান মামুন/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।