মায়ের পরকীয়া জেনে ছেলের আত্মহত্যা
রংপুরে বিলাস রায় (১৫) নামে এক স্কুলছাত্র ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সকালে নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের ৩৩নং সিঙ্গিমারী ব্রিজের পাশ থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
বিলাস ওই ওয়ার্ডের বড়বাড়ি হিন্দুপাড়া এলাকার দুবাই প্রবাসী বাবলু রায়ের ছেলে এবং বড়বাড়ি বয়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, নিহত বিলাসের বাবা দীর্ঘদিন ধরে দুবাইতে থাকেন। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে ও ছেলে বিলাসকে নিয়ে তাদের মা গীতা রানী বড়বাড়িতে বসবাস করছিলেন। স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে গীতার বাড়িতে বিভিন্ন পুরুষ আসা যাওয়া করতেন। এ নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে গীতার প্রায়ই ঝগড়া হতো।
মঙ্গলবার সকালেও এ নিয়ে বিলাশের সঙ্গে তার মায়ের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বিলাস অভিমান করে ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করতে গেলে এলাকার লোকজন তাকে ফিরিয়ে আনে। পরে ওই রাতে মেয়ের সঙ্গেও গীতার ঝগড়া হয়। এরপর দুই ভাইবোন এক রুমে ঘুমায়।
বুধবার সকালে সকলের অগোচরে বিলাস ঘর থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী সিঙ্গিমারী ব্রিজের কাছে গিয়ে পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিলাসের খণ্ড বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য রবীন চন্দ্র বলেন, গীতার বাড়িতে প্রায়ই অপরিচিত লোকজন যাতায়াত করতেন বলে শুনেছি। বিষয়টি বিলাস মেনে নিতে পারতো না। এ নিয়ে ছেলে বিলাসের সঙ্গে প্রায়ই গীতার ঝগড়া হতো।
বিলাসের মা গীতা রানী বলেন, সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিলাস বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে লোকমুখে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারি।
কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর খবরটি শুনেছি। ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করায় রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জিতু কবীর/এফএ/পিআর