মৃত্যুশয্যায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলার বাদী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০২:৫০ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৭

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার বাদী মোসলেমউদ্দীন মৃত্যুশয্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সাতক্ষীরা আদালতে বাদীর জবানবন্দি দেওয়ার সময় হঠাৎ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতারের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এ সময় আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।

যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দীন (৭৫) কলারোয়া সদরের তুলসিডাঙ্গা এলাকার মৃত মাদার সরদারের ছেলে।

মামলার অপর স্বাক্ষী ও মামলার বাদীর ভাতিজা শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আলাদতে জবানবন্দি প্রদানকালে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মামলার বাদী। এ সময় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মামলার বাদীর জবানবন্দির দিন ধার্য ছিল।

তিনি আরো বলেন, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সফর করেন। সফর শেষে যশোর ফিরে যাওয়ার সময় কলারোয়া সদরে পৌঁছালে সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়।

এঘটনায় ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ২৭ জন এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন চাচা মোসলেমউদ্দীন। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্ত শেষে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে কলারোয়া থানা পুলিশ। আসামিদের মধ্য থেকে চারজন বিভিন্ন সময় ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামালা মামলার বাদী মোসলেমউদ্দীন বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ডাক্তার আসাদুজ্জামানের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন।

জাগো নিউজকে ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি হার্ট ফেলিউর করেছেন। তাছাড়া আগে থেকেই তিনি সিওপিডি, ওল্ড স্ট্রোক, ওল্ড এমআই ও ডিএম রোগে ভুগছিলেন। তাছাড়া অনেকটা বয়স হয়েছে। এখনো তিনি যে শঙ্কামুক্ত এটা বলা যাবে না। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি ও চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছি।

আকরামুল ইসলাম/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।