উত্তরবঙ্গে ৬০ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের ধীরগতি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৭

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জ অংশের হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক ও হাটিকুমরুল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের নলকা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চলাচলে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। খানাখন্দ ও ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতুতে রেশনিং এর কারণে এ যানজট।

মাঝে মধ্যে শামুকের গতিতে চললেও বেশিরভাগ সময়ই যানবাহনগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। মহাসড়কজুড়ে যানজটের কারণে ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী হাজার হাজার মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে।

বুধবার বিকেল থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু-হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ১৯ কি.মি. হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার ও বনপাড়া মহাসড়কের দবিরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে যানবাহনগুলো। এদিকে সড়ক বিভাগ খানাখন্দগুলো সংস্কার করার চেষ্টা করলেও বৃষ্টির কারণে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান খান বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কের অবস্থা একেবারেই বেহাল। বড় বড় গর্ত আর খানা-খন্দকে ভরা এ মহাসড়কটি। সবসময়ই যানবাহনগুলো যেন দুলতে দুলতে চলতে হয়। এ কারণে যানজটের তীব্রতা আরও বেশি। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে দুপুরের দিকে যানজট কিছুটা কম ছিল। তবে গাড়ীগুলোর গতি ছিল অত্যন্ত শ্লথ। কিন্তু বিকেল থেকে আবারও শুরু হয়েছে ভয়াবহ যানজট।

সলঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রফিক জানান, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সলঙ্গা থানা, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা ও ট্রাফিক পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, নলকা সেতু ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর সংস্কার কাজ চলছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। কাজ শেষ হতে আরও অন্তত ১০/১২ দিন সময় লাগবে। আমি নিজে উপস্থিত থেকে এ কাজগুলোর তদারকি করছি।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।