তিনশ ফুট মাটির নিচে পাহাড়ধসে নিখোঁজরা
বান্দরবানে পাহাড়ধসে মাটিতে চাপা পড়া নিখোঁজ চারজনকে উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি।
সোমবার সকাল থেকে আবারও দমকল বাহিনীর সদস্যরা বান্দরবান রুমা সড়কের ওয়াইজনশনের দলিয়ানপাড়া এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালায়।
তবে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় উদ্ধার কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে গতকালে পাহাড়েধসে পড়া মাটির তিনশ ফুট নিচের খাদের নিখোঁজরা চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করছেন দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ধসে যাওয়া ওই পাহাড় থেকে এখনও মাটি ধসে পড়ছে। আর ওই পাহাড়ে আবারও বড় ধরনের ধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দমকল বাহিনীর সদস্যরা। তাই উদ্ধারকাজ ঠিকভাবে চালানো যাচ্ছে না।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের অভিযানে কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। আজও মাটিতে চাপা পড়ে থাকা নিখোঁজ চারজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ওই পাহাড়টিতে আরও বড় ধরনের ধস হতে পারে। আগামীকাল (২৫ জুলাই) আবারও উদ্ধার অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দমকল বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয়রা জানায়, সোমবারের টানা বর্ষণে বান্দরবান সদর থেকে ২২ মাইল দূরে দলিয়ানপাড়ায় বান্দরবান-রুমা সড়কের ওই অংশে পাহাড়ধসে পড়ে।
এতে সেখান দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল বেলা ১১টার দিকে যানবাহনের যাত্রীরা সড়কের ওই অংশ হেঁটে পারাপার হওয়ার সময় পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। এতে পাঁচজন নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, রুমা শাখার কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দী, রুমা উপজেলা পোস্ট মাস্টার রবিউল আলম, রুমা উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মী মুন্নি বড়ুয়া এবং রুমা সাংগু জুনিয়র হাইস্কুলে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেসিং মারমা মাটিতে চাপা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করছেন তাদের স্বজনরা।
এছাড়া দলিয়ান পাড়া এলাকার সড়কে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় বান্দরবানের সঙ্গে রুমা উপজেলার আজও সড়ক যোগযোগ বিচ্ছ্ন্নি রয়েছে।
সৈকত দাশ/এএম/এমএস