বাবাসহ সেই নববধূকে ৩ দিন আটকে রাখলেন চেয়ারম্যান
স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ার অপরাধে নববধূ আরফিনা আক্তার ও তার বাবা আশরাফুল ইসলামকে তিনদিন আটকে রাখে পলাশী ইউপি চেয়াম্যান। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউপি পরিষদ কার্যালয় থেকে তাদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে স্বামী নুর কুতুব সুজনের পুরষাঙ্গ কেটে দেয়ার অপরাধে ছেলের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নববধূ আরফিনা আক্তারকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ এ মামলায় নববধূকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নুর কুতুব সুজনের পুরুষাঙ্গ দা দিয়ে কেটে দেন তারই নববধূ আরফিনা আক্তার। আরফিনা আক্তার হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের কাছিমবাজার গ্রামের ভ্যানচালক আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।
সুজনের সঙ্গে গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় আরফিনার। ওই রাতেই নববধূকে নিয়ে সুজন বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্যের এক পর্যায়ে নববধূ আরফিনা দা দিয়ে স্বামী সুজনের পুরুষাঙ্গে আঘাত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় সুজনকে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পলাশী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, সালিশ বৈঠকে মেয়ের পরিবারের দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে। এ টাকার জন্য নববধূ ও তার বাবাকে আটক রাখা হয়।
আটক রাখার বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজ আলম নববধূ ও তার বাবাকে ইউপি কার্যালয় থেকে উদ্ধার এবং মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবিউল ইসলাম/এমআরএম