ঠাকুরগাঁওয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুনের ঘটনায় আটক ২

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৫:২৬ এএম, ১২ জুলাই ২০১৭

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্তের ছুরিকাঘাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুল মান্নান খুনের ঘটনায় পুলিশ সন্দেহজনক দুজনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার ভোরে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান মোহাম্মদ লালন আহম্মেদ নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত যুবলীগ নেতা সজীব দত্তের ভাই পিন্টু দত্ত (৩৫) ও পৌর ১০নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শান্ত (৩০)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্তের সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নানের সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। এ সময় যুবলীগ নেতা সজীব দত্ত মান্নানকে পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

পরবর্তীতে আব্দুল মান্নান সজীব দত্তের বড় ভাই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্তকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তার ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলে মান্নানকে শাসিয়ে সাবধান করে দেন বলে ওই সময় উপস্থিত অনেকে বলেছেন।

ওই ঘটনার জের ধরে সজীব দত্ত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় আব্দুল মান্নানকে শহরের মুন্সিরহাট এলাকায় দেখখে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র গিয়ে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে মান্নান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আব্দুল মান্নানকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মনকে সজীব দত্ত ছুরিকাঘাত করে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যান। 

পরে স্থানীয় লোকজন আব্দুল মান্নান ও জুম্মনকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আনার পথে মান্নান অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে পথিমধ্যে মারা যান। আর জুম্মনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাত ২টার দিকে জুম্মনের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রত রায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল ও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ হতাহতের খোঁজ নিতে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।

পরবর্তীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে সন্দেহজনক পিন্টু (৩৫) ও শান্ত (৩০) নামে দুজনকে আটক করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাকিল চৌধুরী অবিলম্বে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

এ খুনের সঙ্গে জড়িতের অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সজীব দত্তের বড় ভাই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর পলাতক। 

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, খুনের সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ চিহ্নিত করেছে। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান চলছে। আসামিরা যেন বর্ডার অতিক্রম না করতে পারে তাই সীমান্তে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।

রবিউল এহসান রিপন/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।