৭ দিন অনশনের পর বিয়ের পিঁড়িতে প্রবাসী প্রেমিকা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০১:৩৪ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৭

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক প্রবাসী নারী। অবশেষে গতকাল সোমবার রাতে তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন প্রেমিক।

উপজেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন সরকারকান্দি গ্রামের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও উত্তর তারাবুনিয়া চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় সোমবার রাত ১০টার দিকে এ বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই প্রবাসী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগার থানার রায়দক্ষিণ গ্রামের মো. আকাল হোসেনের মেয়ে নারগিস আক্তার (৩৬)। তার প্রেমিক শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন সরকারকান্দি গ্রামের মৃত. অনু সরকারের ছেলে প্রবাসী ছালামত সরকার (২৯)।

প্রসঙ্গত, বাবার সংসারের হাল ধরতে কাজের জন্য ২০০৮ সালে লেবাননে পাড়ি জমান নারগিস আক্তার। ওই সালেই একই উদ্দেশ্যে ছালামত লেবাননে যান।

তখন ছালামতের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় নারগিসের। প্রথম বন্ধুত্ব পরে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা বিয়ে করেন।

কিন্তু ২০১৬ সালের নভেম্বরে নারগিস ছুটিতে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে চলে আসেন। তখন ছালামত লেবানন। নারগিস বাংলাদেশে আসার পর থেকে তার কোনো খোঁজখবর নেননি ছালামত।

গত ৩০ জুন বাংলাদেশে আসেন ছালামত। দেশে আসার ঘটনা জানতে পেরে গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার ছালামত সরকারের বাড়ি এসে হাজির হন নারগিস। 

নারগিস আক্তার বলেন, সাতদিন হলো আমি আমার স্বামী ছালামত সরকারের বাড়িতে এসেছি। কিন্তু আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছিল না ছালামত। অবশেষে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বাংলাদেশের আইনে বিয়ের রেজিস্ট্রি করিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা দেয় ছালামত।

তিনি আরও বলেন, গতকাল সোমবার রাতে ছালামত সরকার আমাকে বিয়ে করেন। আমি আমার ভালোবাসার মর্যাদা পেয়েছি।

এ ব্যাপারে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস সরকার বলেন, ছালামত খোঁজখবর না নেয়ায় মানিকগঞ্জ থেকে গত মঙ্গলবার এক প্রবাসী নারী শরীয়তপুরের সরকারকান্দি গ্রামে চলে এসেছেন। আমি শুনেছি বিদেশে থাকতে তাদের নাকি বিয়ে হয়েছে এবং সাত বছর একসঙ্গে ছিলেন।

এ ঘটনা শুনে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ছেলের পরিবার এবং মেয়েকে ডেকেছি। ডেকে এনে দুই পক্ষের কথা শুনে সমাধান দিতে চেষ্টা করি। অবশেষে রাত ১০টার দিকে কাজী ডেকে নারগিস ও সালামতের বিয়ে দেই।

জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রওশন আরা বেগম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যেহেতু নারগিস ও সালামতেরর বিয়ে হয়েছে এটি লিগ্যাল কাজ হয়েছে। আমি চাই ওদের সংসার জীবন সুখের হোক।

মো. ছগির হোসেন/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।