গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০


প্রকাশিত: ০৫:৫৫ এএম, ০৪ জুলাই ২০১৭

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় রাতে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের পর মঙ্গলবার সকালে আরও একজনের মরদেহ (৩৬) উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এনিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়ালো।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ফের ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সকাল সোয়া ৮টার দিকে আরও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা। তবে বেশির ভাগ মরদেহ বিকৃত হয়ে গেছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৯ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত। নিহতদের মধ্যে আটজন ঘটনাস্থলেই এবং অপরজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

গাজীপুরেরর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদ হাসান জানান, ১০টি মরদেহের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে এর মধ্যে সোমবার রাতে ৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদের স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে হাসপাতাল থেকে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

gazipur

নিহতরা হলেন-বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার নামাজখালী গ্রামের শাহার আলীর ছেলে মাহবুবুর রহমান (২৩), চট্টগ্রামের মিরেরসরাই থানার বামনসুন্দর গ্রামের মৃত মোকছেদ আহমেদের ছেলে আব্দুস সালাম (৫৫), চাঁদপুর সদরের মদনা গ্রামের বাচ্চু ছৈয়ালের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩০), মাগুরার হরিশপুর থানার গোবরা গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে আল আমিন (৩০), রাজবাড়ির গোয়ালন্দ থানার বরাট বাজার এলাকার মনিন্দনাথের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র শীল (৩৮) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার কুন্ডা গ্রামের সাগর আলী মীরের ছেলে মজিবুর রহমান (৩৭)।

এছাড়া মনসুর (৩০) ও আরশাদ হোসেন (৩৬) নামে নিহত দুইজনের নাম পাওয়া গেলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের মধ্যে গাইবান্দা জেলার পলাশবাড়ি থানার মরিয়া গ্রামের মৃত মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সোলেমান মিয়া (৩০) নামে একজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। নিহত অপর জনের পরিচয় জানা যায়নি। কামরুল ইসলাম (৩২) নামের আহত একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. শাহিন আলম জানান, সোমবার দিবাগত রাত ১টার পর বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক বন্ধ ছিল। তবে মঙ্গলবার ভোর থেকে জয়দেবপুর ও কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ দিন সকাল সোয়া ৮টার দিকে ভবনের ধসে যাওয়া অংশের নিচ থেকে আরও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় জানা যায়নি।

তবে মঙ্গলবার সকালে কারখানার নিখোঁজ শ্রমিক আরশাদ হোসেনকে (৩৬) তার স্বজনরা খুঁজছেন। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি এরশাদের কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আরও ৩-৪ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে কারখানার সামনে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের স্বজনরা।

আমিনুল ইসলাম/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।