তিস্তা পাড় যেন সমুদ্র সৈকত


প্রকাশিত: ০৫:১৭ এএম, ৩০ জুন ২০১৭

দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় তিস্তা নদীর পাড় ঈদ আনন্দে যেন সমুদ্র সৈকতে পরিণত হয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিনেও ছিল ব্যারেজ এলাকায় বিনোদন পিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়।

ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন তিস্তার বুকে দ্রুত বেগে এক পাশ থেকে আরেক পাশে ছুটে চলছে ৪টি স্পিডবোট। হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠছেন সবাই। বড় বড় ঢেউ এসে ধাক্কা দিচ্ছে তিস্তার কূলে। ছিটে আসা জলরাশি ছুঁয়ে মজা করছেন সকলেই। ঈদের আনন্দে রঙিন হয়ে উঠেছে ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের মন।

t2ista

তিস্তা নদীতে বিনোদনের জন্য স্পিডবোটে উঠতে জনপ্রতি খরচ হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা। ফলে মুহূর্তেই ভরে যাচ্ছে বোটগুলো। এলাকার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হওয়ায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় প্রতিদিন পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নামছে। শিশু কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে তিস্তা পাড়।

বিনোদনপ্রেমী মানুষগুলোকে বহনকারী বিভিন্ন সাজে সজ্জিত গাড়িগুলোতে শোভা পাচ্ছিলো জরি লাগানো নানা রংগের বর্ণিল কাগজ ও ‘চল না ঘুরে আসি কোথাও থেকে’ ঈদ আনন্দে মেথে উঠি লেখা ব্যানার।

tista

ব্যারেজ এলাকায় আসা জেলা-উপজেলা শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের নামে লেখা ব্যানার সংবলিত গাড়িগুলোতে বিনোদন প্রেমীদের মাইক বাজিয়ে ও নেচে গেয়ে আনন্দ করতে দেখা গেছে।

তিস্তা ব্যারেজ জুড়ে বসেছে অস্থায়ি হাট। নানা রকম পণ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে দোকানগুলো। বিভিন্ন খেলনা, বাঁশি, বেলুন, মাটির গাড়ি, খাবারের দোকান রয়েছে এখানে।

tista

এ ছাড়া নদীর বুকে ভাসমান বিলুপ্ত আশির দশকের বেশ কিছু পাল তোলা নৌকা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। অনেকেই ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনে বন্দি করছেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।

ঘুরতে আসা, আরিফ, হাসান, তানিয়া, আদিবা,আশিক,তরু জানান, ব্যারাজ ঘুরে খুব মজা পেয়েছি। বন্ধুদের সাথে দীর্ঘক্ষণ নৌকা ভ্রমণে আনন্দ করছি।

tista

তিস্তা ব্যারাজে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা সেনা সদস্য নীলফামারীর জলঢাকা এলাকার সোহেল রানা বলেন, ব্যাস্ততা আর ডিউটির মাঝে একটু সময় করে পরিবার নিয়ে ঈদ আনন্দে ঘুরতে এসেছি এখানে।

tista

তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী আনসার ক্যাম্পের ইনচার্র্জ আব্দুল খালেক জানান, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিদিনই তাদেও সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

রবিউল হাসান/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।