তিস্তায় এক বিজিবি সদস্য নিখোঁজ


প্রকাশিত: ০৪:০৮ এএম, ২৭ জুন ২০১৭

লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে ভারতীয় গরু পাচার প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া (৩০)।

মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ হওয়া এ বিজিবি ল্যান্স নায়েককে উদ্ধারে তিস্তা নদীতে হেলিকপ্টার পাঠানো হচ্ছে বলে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ জানিয়েছেন।

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দহগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীতে তিনি নিখোঁজ হন।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্প থেকে বিওপির চার জনের একটি টহল টিম মুন্সিপাড়া সীমান্ত এলাকায় তিস্তার ধারে যায়। ভারতীয় গরু পাচার হয়ে আসার সময় নদীতে পাচারকারীদের ধরতে গিয়ে ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া নিখোঁজ হন। তাকে খুঁজতে ভারতের বিএসএফ-এর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তারা স্পিডবোট দিয়ে তল্লাশিতে সহায়তা করছে।

এদিকে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল কাজ করছে। দহগ্রাম মূল সীমান্ত খুঁটি ৬-এ’র ৩ নম্বর সাব খুঁটি এলাকার আবুলের চর নামক একটি জায়গা থেকে নিখোঁজ হন বলে বিজিবি নিশ্চিত করেছে। বিজিবিতে সুমন মিয়ার বডি নম্বর ৭৬২৪১। তার বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়া রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্য। কিন্তু তিনি ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত আছেন।

ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য সন্ধানের কাজ করছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবুল কালাম আজাদ মনিটরিং করছেন। উপস্থিত আছেন স্থানীয় দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন।

রবিউল হাসান/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।