টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে স্বস্তির হাসি
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কজুড়ে বইছে স্বস্তির হাসি। বিগত বছরগুলোর নির্দয় যানজট নামক ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে এ মহাসড়কের যাত্রাপথে এবার এসেছে স্বস্তি। যাত্রাপথের এ স্বস্তির কারণ হিসেবে যাত্রীসহ পরিবহনে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন সরকারের মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধসহ পুলিশ প্রশাসনের নিরলস পরিশ্রম। এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্যে জানা যায়, দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গসহ ২৬টি জেলার মিলনপথ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক। দেশের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জেলার পরিবহন যাত্রাপথ হিসেবে ব্যবহার করছে এই মহাসড়ক।
শনিবার সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার সড়কে যানজট ছিল না বললেই চলে। এ সময়টুকু নির্বিঘ্নে চলাচল করেছে বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহন। তবে পরিবহনের চাপ ছিল অস্বাভাবিক। রাত ৯টার পর থেকে প্রায় ২০ মিনিট বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল নেয়া বন্ধ থাকায় এ সময়টুকু ভোগান্তির শিকার হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পরিবহনগুলো। এছাড়া দিনের বাকি সময় নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চালকসহ ঘরমুখো মানুষ।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশ, এলেঙ্গা, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস করটিয়া ও তারুটিয়ায় দেখা গেছে স্বাভাবিক যান চলাচল।
স্বস্তি প্রকাশ করে ঢাকা থেকে আসা টাঙ্গাইলের মোহতাজ বিলাহ রুবেল, সুমন মিয়াসহ কয়েকজন বাস যাত্রী জানান, বিগত বছরগুলো ঈদযাত্রা আর এবারের বাসযাত্রায় ঘটেছে সীমাহীন পরিবর্তন। মহাসড়কে পরিবহনের চাপ থাকলেও তুলনামূলকভাবে যানজট নেই বললেই চলে। বিশেষ করে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে। এছাড়া মহাসড়কের ঢাকা থেকে গাজীপুর জেলার চন্দ্রা পর্যন্ত এলাকায় কিছুটা যানজট থাকলেও ঈদ মৌসুম হিসেবে সেটা খুবই স্বাভাবিক। সরকারের মহাসড়কের চার লেন সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের নিরলস দায়িত্ব পালনের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এ নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বাসচালক রঞ্জু মিয়া জানান, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়েও অল্পসময়ে তারা যাতায়াত করতে পারছে। সরকারের মহাসড়কের চার লেন সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রাখাসহ জেলা পুলিশ প্রশাসনের নিরলস দায়িত্ব পালন আর মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও লেগুনা বন্ধ রাখায় যানজটমুক্ত চলাচল সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এ ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে এ ঈদ মৌসুমে যানবাহন চলাচল স্বভাবিক থাকবে বলেও মনে করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছাবুর রহমান জানান, দিনের সবটুকু সময়ই এ মহাসড়কে যানবাহনের অস্বাভাবিক চাপ ছিল। এ সত্ত্বেও কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যদিও রাত ৯টা থেকে প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজায় টোল নেয়া বন্ধ হওয়ায় যানজটের কিছুটা সম্ভাবনা দেখা দেয়। পুনরায় টোল আদায় শুরু করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ঈদের এই ব্যস্ততম সময়ে মহাসড়কে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ও গাড়ি বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
বিএ