ঈদে ভোগাতে পারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া


প্রকাশিত: ০৪:২৯ এএম, ২০ জুন ২০১৭

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবারো ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলা হলেও পারাপার নিয়ে শঙ্কা কাটছে না যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। দৌলতদিয়া প্রান্তের ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট নদী ভাঙনে হুমকির মুখে থাকায় মূলত এই শঙ্কার কারণ। ভাঙন অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় ঘাট দুটি বন্ধ হয়ে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির কারণ হতে পারে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের রাজধানীর প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আর যান পারাপার হয়। ঈদের সময় এই ঘাটের ব্যস্ততা বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ। অতিরিক্ত এ চাপ সামাল দেয়া এবং যাত্রীদের নির্বিঘ্ন পারাপার নিশ্চিত করতে এবারো মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন একাধিক বৈঠক করে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আজমল হোসেন জানান, এবার ঈদে যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত থাকবে ছোট বড় ১৮টি ফেরি। কোনো ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ভাসমান কারখানায় মেরামতের ব্যবস্থা রয়েছে। ফেরিগুলো হকারমুক্ত রাখা হবে।

এছাড়া সার্বক্ষণিক যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত থাকবে ৩৬টি লঞ্চ। এসব লঞ্চে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা হয় এজন্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এবারে যাত্রী নিরাপত্তায় থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ফি মেডিক্যাল ক্যাম্প। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ ৪ শতাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ঘাটের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আনা হবে সিসি ক্যামেরার আওতায়।

এদিকে পাটুরিয়া প্রান্তে এবারো ছোট ও বড় যানবাহনের জন্য করা হবে আলাদা আলাদা লেন। রাস্তায় নির্মাণ কর হবে অস্থায়ী রোড ডিভাইডার।

manik

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এতসব প্রস্তিু থাকলেও দৌলতদিয়া প্রান্তের ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট নদী ভাঙনে হুমকির মুখে থাকায় পারাপার নিয়ে শঙ্কা কাটছে না যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। তাদের আশংকা যেকোনো সময় ঘাট দুটি নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।

অপরদিকে ঈদের আগেই দৌলতদিয়ার পুরাতন লঞ্চ ঘাট এলাকায় দুটি নতুন ঘাট নির্মাণের কথা থাকলেও তেমন অগ্রগতি নেই।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান জানান, ৩ ও ৪ নম্বর ঘাটে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় ঘাট বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ঈদের আগেই নতুন ঘাট দুটি চালু না হলে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দে পারাপার সম্ভব হবে না।

বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান, দৌলতদিয়ার ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রস্তাবিত নতুন ঘাট দুটির কাজ যথাসময়ে শেষ না করায় এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলেই তারা ঘাটের পল্টুন বসানোর কাজ শুরু করবেন।

বি.এম খোরশেদ/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।