খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি


প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ১৯ জুন ২০১৭

টানা বর্ষণে খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার ভোর থেকে টানা প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, মেহেদীবাগ, মিলনপুর, সাতভাইয়া পাড়া মুখ, খবংপুড়িয়া, শান্তিনগর, অর্পণা চৌধুরী পাড়া, কল্যাণপুরসহ আটটি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শতাধিক পানিবন্দি পরিবার জেলা শহরের শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুসলিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে, টানা বর্ষণের ফলে খাগড়াছড়ি জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। পাহাড় ধসে বিভিন্ন স্থানে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

khagrachory

পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আশপাশের গ্রাম ও গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, মোল্লাপাড়া, কৈবল্যপিঠ, আঠার পরিবার, শালবন, হরিনাথপাড়া গ্যাপ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় ব্যাপক পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ১৭টি টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম।

khagrachory

খাগড়াছড়ি পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, অতীতে কখনো খাগড়াছড়িতে একদিনের বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ার নজির নাই। সম্প্রতি খাগড়াছড়ির বিভিন্ন খাল, ছড়া ও জলাশয় দখল হয়ে যাওয়ায় কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যা হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রকৃতি আমাদের সতর্ক সংকেত দিচ্ছে বড় ধরণের বিপর্যয়ের। দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যা দুর্গত যারা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা হবে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।