গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সীমাহীন দুর্নীতি


প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ১৭ মে ২০১৫

গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাঘাটা এলাকায় নতুন লাইন স্থাপন, সংযোগ প্রদান, বিল কারচুপিসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালকের যোগসাজসে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।

এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের পবনতাইড় গ্রামের বিভিন্ন পাড়ায় নতুন করে সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের জন্য চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে টেন্ডার করা হয়। এরপরই পল্লী বিদ্যুৎ  সমিতির সাঘাটা ১নং এলাকা পরিচালক মঞ্জুর রহমান ও তার সহযোগীরা বিদ্যুতের পোল বহন, স্থাপন, তার টানানো এবং অফিসে বিভিন্ন খরচ বাবদ প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে সাত হাজার করে টাকা আদায় করছেন।

পবনতাইড় গ্রামের কয়েকজন গ্রাহক জানান, ওই এলাকায় কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ এর জন্য এলাকার সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া ডিও লেটার প্রদান করেছেন। এরপরও এলাকার লোকজনের কাছ থেকে লাইন সংযোগ দেওয়ার নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ সাথালিয়া, মামুদপুর, পবন তাইড়সহ বিভিন্ন এলাকাতেও একই ধরণের অনিয়ম করা হয়েছে।

এ বিষয়ে এলাকা পরিচালক মঞ্জুর রহমান জানান, শুধু ডিও লেটারে কাজ হয় না। অর্থ না দিলে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।
 
গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এএইচএম ওহিদুল হক জানান, সরকারি বরাদ্দে বিদ্যুৎ লাইনের জন্য কোনো টাকা দিতে হয় না। এছাড়া রশিদ ছাড়া অফিসে কোনো টাকা গ্রহণ করা হয় না। অফিসের নামে কেউ অবৈধভাবে টাকা নিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

অমিত দাশ/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।