সিলেটে সেতুর টোল বৃদ্ধি : সড়ক অবরোধ


প্রকাশিত: ০৭:২৬ এএম, ১৭ মে ২০১৫

সিলেটের চারটি সেতুতে হঠাৎ করে ট্রাক পারাপারে চারগুণ টোল বৃদ্ধি করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই টোল বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করেছেন। পরে পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন তারা।

রোববার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর সেতু ও ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু, তামাবিল-গোলাপগঞ্জ বাইপাস সড়কের শাহপরাণ সেতু এবং সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজি সেতুতে এ ধর্মঘট ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।

সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া জাগো নিউজকে জানান, সিলেটের চারটি সেতুতে আগে ট্রাক প্রতি ২০-৫০ টাকা টোল আদায় করা হতো। রোবববার রাত (শনিবার দিবাগত রাত) ১২টা ১ মিনিটে সিলেটের চারটি সেতুর টোল প্লাজায় হঠাৎ করে ৩-৪ গুণ টোল বৃদ্ধির নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে বাড়তি টোল আদায় শুরু করা হয়।

পূর্ব আলোচনা ছাড়া সড়ক ও জনপথের এরকম অস্বাভাবিক টোল বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে ট্রাক শ্রমিকরা রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ওই চার সেতু দিয়ে ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেন। রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

দিলু মিয়া আরও জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটের পুলিশ সুপারসহ পুলিশে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। পুলিশ কর্মকর্তারা শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন সড়ক ও জনপথের সঙ্গে আলোচনা করে তারা বাড়তি টোল প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেবেন।
পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বর্তমানে আগের মতোই টোল আদায় করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরছালিন জাগো নিউজকে জানান,  ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা না করেই প্রায় চারগুণ টোল বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে আলোচনা সাপেক্ষে টোল নির্ধারণের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে সিলেট সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ইফতেখার কবীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

ছামির মাহমুদ/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।