ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম রাঙামাটিতে


প্রকাশিত: ০৩:৪০ এএম, ১৬ জুন ২০১৭

রাঙামাটি এখন মৃত্যুপুরী। এ পর্যন্ত শুধু রাঙামাটিতেই ১১১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অনেকেই। শুক্রবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। হতাহত আর স্বজনদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে রাঙামাটির আকাশ বাতাস। তবুও জীবন থেমে থাকে না। সে চলে তার আপন গতিতে। আর এ নদীর কূল পেতে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে পাহাড়ের মানুষকে।

জানা যায়, মঙ্গলবারের পর থেকে রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এ চার দিনে বিদ্যুতের অভাবে মানুষের জীবন নাকাল। গত চারদিন ধরে মোমবাতিই ছিল একমাত্র ভরসা। কিন্তু বর্তমানে মোমবাতিরও সংকট দেখা দিয়েছে। দোকানেও আর মোমবাতি নেই। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় রাঙামাটিতে পানি সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় পেট্রোল পাম্পগুলোতে সুযোগের সদব্যবহার চলছে পুরোদমে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ৯০ টাকা লিটারের পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটারে।

পাহাড় ধসে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় জেলায় খাদ্যসহ সকল প্রকার পণ্য আমদানিও বন্ধ রয়েছে। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। ৩০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, ২০ টাকা কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, ১০ টাকা কেজি ঢেঁড়সের দাম হয়েছে ৮০ টাকা। এগুলোকে মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ হিসেবেই দেখছেন ভুক্তভোগীরা।

এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে রাঙামাটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িক ঠিক করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মুসা।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। এটা ঠিক হতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে। এ কারণে পণ্য আসছে না। চারটি স্টিমারযোগে প্রয়োজনীয় পণ্য আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংকটের সুযোগ নিয়ে দাম বাড়ানো হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।