চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, ক্ষতির আশঙ্কা


প্রকাশিত: ০৩:০৮ এএম, ১৫ জুন ২০১৭

চট্টগ্রাম জেলায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হয়েছে। বুধবার বৃষ্টি না হওয়ায় এ উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে টানা বৃষ্টিতে নগরের বেশিরভাগ সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে চলচল করা যাত্রী ও পথচারিদের জন্য প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, উপজেলা পর্যায় থেকে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির খবর আসছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাওয়ার পর ত্রাণ বরাদ্দ করা হবে। পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ক্ষতির তালিকা করে পাঠালে প্রকৃত চিত্র জানা যাবে।

ফটিকছড়ির আজাদী বাজারের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ফজলুল হক জানান, ওই এলাকায় অন্তত ৭০টি কাচা ঘর বন্যায় ভেঙে গেছে। পপুলার খামারের ১২ হাজার ফার্মের মুরগির বাচ্চা মারা গেছে।

সাতকানিয়া ও চন্দনাইশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ অনেক সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। তবে শঙ্খের ভাঙন তীব্র হয়েছে। আমিলাইষ, নলুয়া ও চরতি ইউনিয়নে অন্তত ৫০টি বসতঘর শঙ্খে বিলীন হয়ে গেছে।

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে পটিয়া, আনোয়ারা, রাউজান, রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায়। তবে এসব উপজেলার বিপুল পরিমাণ গ্রামীণ সড়ক ও কাঁচাঘর ভেঙেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়ক, আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, নিমতলা পোর্ট কানেকটিং সড়ক, ফিরিঙ্গিবাজারের মেরিনার্স সড়ক, আরাকান সড়ক, কাপাসগোলা সড়ক, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, সিডিএ অ্যাভেনিউর বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃষ্টির পাশাপাশি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলায় কিছু কিছু এলাকায় ওয়াসা, পিডিবি, টিঅ্যান্ডটি ও বাখরাবাদ গ্যাসের খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও সড়কের বেহাল দশা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারী বৃষ্টি ও মাত্রাতিরিক্ত লোডের যানবাহনের চাপে কিছু কিছু সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়ক সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে।

এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।