সৈয়দপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার


প্রকাশিত: ০৭:৪৫ এএম, ১৫ মে ২০১৫

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কুঠিরপাড়া গ্রামে বুধবার রাতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সিপাইগঞ্জ বাজারে পাটশাক বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।

এ ঘটনায় পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে আটক করেছে। আটকরা হলেন, একই এলাকার রাজ্জাক (২০) ও জহুরুল ইসলাম (১৮)। তবে মেয়েটি আটকদের চিনতে না পারায় পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।

ধর্ষিতা মেয়েটি কুঠিরপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক ফেরদৌস আলমের মেয়ে ও গ্রামের কুমারগাড়ী দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।  

নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন মেয়েটি জানায়, অভাবের সংসারে বাবা ভ্যান চালায়। আর সে নিজেদের একখণ্ড জমিতে বিভিন্ন শাক চাষ করে বাজারে বিক্রি করে। ঘটনার দিন সে গ্রামের বাজারে পাট শাক বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে তার রাত হয়ে যায়। এসময় পেছন থেকে একজন যুবক গামছা দিয়ে তার চোখ ও মুখ বেঁধে একটি কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এরপর সে রক্তাক্ত অবস্থায় নিজ বাড়িতে ফিরে।

মেয়েটির বাবা জানায়, খবর পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে তার মেয়েকে প্রথমে সৈয়দপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর রাত ১১ টার দিকে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করে।

নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ধর্ষণের আলামত অনুযায়ী মেয়েটির চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কার্তিক মোহন্ত জাগো নিউজকে জানায়, আসামিকে গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

সৈয়দপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ওই গ্রামের মোক্তাম হোসেনের ছেলে রাজ্জাক ও রুস্তম আলীর ছেলে জহুরুলকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। মেয়েটি ও তার বাবা তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না করায় অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

জাহেদুল ইসলাম/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।