ইউপিডিএফ কর্মীদের তাণ্ডব, বিজিবিসহ আহত ৯


প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ০৭ জুন ২০১৭

খাগড়াছড়িতে উপজাতীদের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) কর্মীদের হামলায় বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৯ সদস্য আহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন সড়কে তাণ্ডব চালিয়ে একাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে তারা।

বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকায় ইউপিডিএফ সমর্থিত হিল উইমেন্স ফেডারেশন সদস্যদের হামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৯ সদস্য আহত হন।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই জেলার বিভিন্ন সড়কে যানবাহনে আগুন, ভাঙচুর ও শ্রমিকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

এ সময় শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে অন্তত ১০ যানবাহন শ্রমিক আহত হয় বলে দাবি করেছেন পৌর কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানা।

KHAGRACHORI

৩২-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল হাসানুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পূর্ব কোনো কর্মসূচি ছাড়াই সকাল ১০টার দিকে স্বনির্ভর এলাকায় সমাবেশ করার চেষ্টা করে ইউপিডিএফ সমর্থিত হিলউইমেন্স ফেডারেশন।

এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিজিবির কাছে সহযোগিতা চায়। বিজিবি পুলিশকে সহযোগিতা করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছা মাত্র সমবেত ইউপিডিএফ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন কর্মীরা বিনা উস্কানিতে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও গুলতি ছুড়তে থাকে। এ সময় ইটপাটকেল ও গুলির আঘাতে তিন বিজিবি জওয়ানসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

এদিকে কোনো কর্মসূচি ছাড়াই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীরা বুধবার দুপুরে আকস্মিকভাবে খাগড়াছড়ির রামগড়ে যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

এ সময় ফেনীগামী যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও পিকআপ ভাঙচুর হয়। হামলায় বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেটকারের চালক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, রাস্তায় ব্যারিকেড দেখে গাড়ি থামানোর পর পাশের জঙ্গল থেকে ১০-১৫ পাহাড়ি যুবক লাঠি রড নিয়ে হঠাৎ তার গাড়ির ওপর হামলা চালায়। এতে প্রাইভেটকারের সামনের-পেছনের ও পাশের সবগুলো গ্লাস ভেঙে দেয় তারা।

এদিকে দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়িতে মালবোঝাই পিকআপে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে ইউপিডিএফ কর্মীরা।

মানিকছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, সংগঠনটির কয়েকজনকর্মী চট্টগ্রামগামী কাঁঠালবোঝাই পিকআপের চালক ও হেলপারকে মারধর করে। পরে তারা গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

এদিকে একই সময়ে পানছড়ি ও মহালছড়িতেও যানবাহন ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। পুরো জেলাজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।