শেরপুরে ‘একদিন একরাত্রির` কালিপূজা ও মেলা


প্রকাশিত: ১১:০৯ এএম, ১৩ মে ২০১৫

গারো পাহাড়ের পাদদেশে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সনাতন ধর্মাবলম্বী আদিবাসী কোচ ও হাজং সম্প্রদায়দের ‘একদিন একরাত্রির` কালিপূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ভোরে উপজেলার সীমান্তবর্তী নকসি গ্রামে শতাধিক পাঠা বলির মধ্য দিয়ে এ পূজা ও মেলা শেষ হয়। এতে স্থানীয় আদিবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও শেরপুর ও আশপাশের জেলা থেকে নানা সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ এ পূজা ও মেলা দেখতে ভীড় জমায়।

কালিপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুধা রঞ্জন হাজং জানান, ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা ঝিনাইগাতীর নকসি গ্রামের প্রাচীন একটি বটগাছের নিচে অবস্থিত কালি মন্দির চত্বরে প্রতি বছর বৈশাখ মাসের কৃঞ্চপক্ষের মঙ্গলবার বিকেলে এ মেলা শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকে কালি মন্দিরে চলে ‘একদিন একরাত্রির` পূজা-অর্চনার কাজ।

আর বুধবার ভোরে শুরু হয় পাঠা বলি। এদিন দুপুরে মেলা শেষ হয়। কবে থেকে একদিন একরাত্রির` কালিপূজা ও মেলা শুরু হয়েছিলো সুধা রঞ্জন হাজং নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে তিনি জানান, শত বছর ধরে স্থানীয় কোচ এবং হাজং সম্প্রদায়ের লোকজন বংশানুক্রমে এ পূজা করে আসছে। বাপ-দাদারা এ পূজা ও মেলা করেছেন, আমরাও সেই ঐতিহ্য পালন করে আসছি।

মেলায় হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্ন আসবাবপত্র, পূজা-অর্চনার সরমঞ্জাদি, তৈজসপত্র, মিষ্টান্নের দোকান, বিভিন্ন খেলনা ও মেয়েদের নানা ধরনের প্রসাধনী সামগ্রীর পসরা বসে। দোকানীরাও বেশ ভালো বিক্রি করে থাকে ঐতিহ্যবাহী এই মেলায়।

হাকিম বাবুল/এআরএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।