চট্টগ্রামে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা, চরম দুর্ভোগ


প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ৩১ মে ২০১৭
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার চট্টগ্রাম নগরী জলাবদ্ধতার কবলে  পড়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে নগরীতে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে অবিরাম বর্ষণ। মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামবাসী সেহরি খাওয়ার সময় বুঝতেই পেরেছিল সকালের পরিণতি। কারণ সেহেরির সময়েই নিচু এলাকা সয়লাব হয়ে গিয়েছিল বৃষ্টির পানিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ৪১ ওয়ার্ডের কোনো এলাকা বাকী নেই পানিতে ডুবেনি। সব ওয়ার্ডের পাহাড়ি ও উচু এলাকায় একমাত্র পানিমুক্ত। নিচু এলাকার এমন কোনো ভবন নেই নিচতলা পানিতে ডুবেনি। ডুবে গেছে বিভিন্ন অভিজাত বিপিনি বিতানও। বিশেষ করে চট্টগ্রামের সবচেয়ে নিচু এলাকা, বন্দর, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, হালিশহর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, চান্দগাঁও, চকবাজার, মোহরা, ফরিদেও পাড়া, সমশেরপাড়া, বহদ্দারহাট, নাসিরাবাদ, কাট্টলী, নিউমার্কেট, মুরাদপুরসহ সব এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোরায় ১৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় তিন হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া বৃষ্টিতে আজ বুধবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। সকাল পর্যন্ত ২২৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। বৃষ্টিতে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সপ্রেস রোড, বহদ্দারহাট বাকলিয়া, শান্তিবাগ এলাকা, মৌসুমী আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ ছোটপুল ও বড়পুল এলাকায় আজ দুপুর পর্যন্ত কোমর পর্যন্ত পানি ছিল।  বিকেল পর্যন্ত এসব এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানি দেখা যায়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহীন ইসলাম জানান, ‘মোরা’ উপকূল অতিক্রম করার পরও বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তাই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বরে আনা হয়েছিল। মোরা চলে গেলেও বৃষ্টি ভাসিয়ে দিলো চট্টগ্রামকে।

জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান বলেন, গতকাল চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। এতে গতকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ঝড়ে কোনো প্রাণহানি হয়নি। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নগরীতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা কারণে নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এতে করে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।