কুতুবদিয়ায় ৬ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত


প্রকাশিত: ০৬:৫০ এএম, ৩০ মে ২০১৭

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে।

আবহাওয়া অফিস থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে সকাল ৬টায় কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। উপকূল অতিক্রমের সময় প্রবল বাতাসে কক্সবাজারে গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘মোরা’র আঘাতে কুতুবদিয়ায় ৬ হাজার বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। তবে সেখানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও জানান, সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। প্রশাসনের সহায়তায় উদ্ধারকারী বিভিন্ন সংস্থা, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এআরএস/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।