বাজারদর নিয়ে ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ


প্রকাশিত: ০৬:১৯ এএম, ২২ মে ২০১৭

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এ মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় নিত্যপণের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যেই বেড়েছে পাঁচ থেকে দশ টাকা।

পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ছোলা ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, খেসারী ৭৬ থেকে ৮০, ডাবলি ৪৫ থেকে ৫০, মুগ ডাল ১১০ থেকে ১২০ এবং মসুর ডাল ভালোমানের ১০০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। আর প্রতি কেজি মরিচের গুড়া ২০০ টাকা, হলুদ গুড়া ২০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। চিড়া প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। চিনি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে পাঁচ থেকে দশ টাকা বেশি।

কাচা বাজারে বেগুন ৪৫ থেকে ৫৫, শসা ২৫ থেকে ৩০, কাকরোল ৪০ থেকে ৫০, পেপে ৩০ থেকে ৪০, টমেটো ৫০ থেকে ৬০, পোটল ২৫ থেকে ৩০, করোল্লা ৫০ থেকে ৫৫, মরিচ ৫০ থেকে ৬০, কুমড়া প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

2Patuakhali

এদিকে পোল্ট্রি মুরগী ১৬০, দেশি মুরগী ২৮০, কক মুরগি ৩০০ টাকায়, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭০০, গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে বিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি।

নিউ মার্কেটে বাজার করতে আসা মোজাম্মেল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রোজার আগেই সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। প্রতিবছর দাম বাড়ে এটা নতুন কী? সরকারের বাজারের দিকে একটু নজর দেয়া উচিত। এভাবে যদি প্রতিনিয়ত দাম বেড়ে যায় তাহলে আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।

2Patuakhali

পটুয়াখালী শহরের নিউ মার্কেটের ফাহিম স্টোরের সত্ত্বাধীকারী সুমন হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের নিদৃষ্ট কোনো মূল্য নেই। দেখা গেছে কেউ বিশ দিন আগে মাল মজুদ করছে, সেও বেশি দামে মাল বিক্রি করছে। কিছু ব্যবসায়ী আছে যে মজুদ করেছে সে মালের দাম কমিয়ে বিক্রি করছে। আর যারা মাল মজুদ করেনি তারা বেশি দাম দিয়ে মাল ক্রয় করছে বিধায় ক্রেতাদের কাছেও বেশি দামে বিক্রয় করছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজান উপলক্ষে সবাই বেকায়দায় আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রমজানে আরেক দফা নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়বে। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিম্নবিত্ত মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে।

শহরের নিউ মার্কেটের কাচামাল বিক্রেতা কালাম জাগো নিউজকে বলেন, কাচামালের দাম এখন কিছুটা কম। তবে রমজান শুরু হলে কাচামালের দাম আরও বাড়বে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।