৪ টাকা কেজি আমের ক্রেতা নেই
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছর আম উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটবে। বছরের শুরুতে ফেব্রুয়ারি মাসে শতকরা ৯০ ভাগ আম গাছে মুকুল হয়েছিল। কিন্তু মুকুল আসার সময় বৃষ্টি হওয়ায় মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আশানুরূপ গুটি হয়নি।
এরপর এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় আমের গুটি ঝরে পড়ে। মে মাসে পরপর তিনটি ঝড় ও দুটি শিলাবৃষ্টিতে আমের গুটি ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া ওই আম বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৬ টাকা কেজি দরে। তবুও ক্রেতার অভাবে এসব আম বিক্রি হচ্ছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার দ্বারিয়াপুর মহলার বাগান মালিক মো. মারুফ জানান, জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা এলাকায় তার পাঁচ বিঘার বাগান আছে। গত ৫ মে ঝড়ে তার বাগানের শতকরা ৭৫ ভাগ আম ঝরে পড়েছে। এ বছর বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ওপর রাজারামপুর মহল্লার আম চাষি মিজানুর রহমান বলেন, তিনটি ঝড়ে অনেক আম পড়ে গেছে এবং শিলা বৃষ্টির কারণে বাগানের অধিকাংশ আম ঝরে গেছে। যে পরিমাণ আম ঝরছে তাতে আমার সবই শেষ হয়ে যাবে। সবকিছু মিলিয়ে এ বছর আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হুদা জানান, এ বছর জেলায় ৫০ ভাগ বাগানের প্রায় ৩০ ভাগের আম ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই ফলন কম হতে পারে। তবে সামষ্টিক ওজনে কতটা প্রভাব পড়বে এটা এখনও বলা যাবে না।
তিনি আরও জানান, শিলা বৃষ্টির কারণে যেসব আম আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে সেসব আম পর্যায়ক্রমে ঝরে পড়বে। ইতোমধ্যে শিলার পর গাছ থেকে প্রতিদিনই আম ঝরে পড়ছে।
এদিকে ঝরে পড়া আম বিভিন্ন হাট-বাজারে ৪ থেকে ৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক আম পচেও গেছে।
মোহা. আব্দুল্লাহ/এএম/জেআইএম