পাবনায় ব্যবসায়ীসহ দু`জন খুন
পাবনার আটঘরিয়ায় সন্ত্রাসীরা এক যুবককে গুলি করে এবং ফরিদপুরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার আটঘরিয়া উপজেলার চাচকিয়া গ্রামে প্রকাশ্যে মিঠু হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে বুধবার গভীর রাতে ফরিদপুর উপজেলার রাউত নাগদাহপাড়া বাধের উপর ব্যবসায়ী ইসলাম প্রামাণিককে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেন সন্ত্রাসীরা।
আটঘরিয়ায় নিহত মিঠু হোসেন উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের নরজান গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সকালে মিঠু চাচকিয়া পূর্বপাড়ায় সমিতির ঋণের কিস্তি দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৫/৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যার সংবাদ পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। সেখানে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারবো। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী দল নকশাল ও সর্বহারা দলের আভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরেই মিঠুকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। নিহত মিঠু চরমপন্থি দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলেও জানান তারা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় নিহত ব্যবসায়ী ইসলাম প্রামাণিক (৬০) ফরিদপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ রাউত নাগদাহপাড়া মহল্লার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। ফরিদপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে ইসলাম প্রামাণিক রাউত নাগদাহপাড়া বাধের উপর দাঁড়িয়ে তার প্রতিবেশির সঙ্গে কথা বলছিলেন। সন্ত্রাসী মিলন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার পাঁচুরিয়াবাড়ি গ্রাম থেকে হত্যাকারী মিলনকে ধারালো দেশি অস্ত্রসহ আটক করে।
ওসি আরও জানান, নিহত ইসলামের সঙ্গে আটক মিলনের টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি মিলন একই এলাকার রায়হান আলীর ছেলে।
আখতারুজ্জামান আখতার/এমজেড/আরআইপি