করমজলে ২৮টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপের জন্ম


প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ১২ মে ২০১৭

দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্র সুন্দরবনের করমজলে প্রথম বার ডিম থেকে ফুটেছে ২৮টি বিরল প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের বাচ্চা। শুক্রবার এ বাচ্চাগুলো করমজলের কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের চৌবাচ্চায় অবমুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে একটি মাদি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের পাড়া ডিম থেকে গত ৮, ৯ ও ১০ মে পর্যন্ত এ বাচ্চাগুলো ফোটে। এরপর বাচ্চাগুলোকে নিবিড় পর্যাবেক্ষণে রাখা হয়।

শুক্রবার করমজল বন্যপ্রাণি প্রজজন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর জানান, গত ৩ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ৩১টি ডিম পাড়ে বিরল প্রজাতির একটি ‘বাটাগুর বাসকা’ মাদি কচ্ছপ।

দুই মাসের ব্যবধানে ওই ডিমের মধ্যে ২৬টি ডিম থেকে গত ৮ মে ৪টি, ৯ মে ১৯টি এবং ১০ মে ৩টি কচ্ছপরে বাচ্চা ফোটে। বাকি ৫টি ডিমের মধ্যে ৩টি নষ্ট হয়ে গেছে এবং ২টি ডিম থেকে ২-১ দিনের মধ্যে আরও ২টি কচ্ছপের বাচ্চা জন্মাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ বন বিভাগ আমেরিকার টারটেল সারভাইভাল এলায়েন্স, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু ও প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের কুমির ও হরিণের পাশাপাশি ২০১৪ সালে গড়ে তোলা হয় বিরল প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র।

এ প্রজনন কেন্দ্রে সদ্য জন্ম নেয়া ২৮টি বাচ্চা ছাড়াও বর্তমানে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ ১২৩টি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ গবেষণার জন্য রয়েছে। এক সময়ে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ লবণাক্ত পানিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত ‘বাটাগুর বাসকা’ বা বড় কাটালি কচ্ছপ। এখন সময়ের বিবর্তনে ও মানব কর্তৃক সৃষ্ট কর্মকাণ্ডে এই প্রজাতির কচ্ছপ প্রায় বিলুপ্তের পথে। এই কচ্ছপগুলোর সারাবিশ্বে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। খাদ্য হিসেবেও এর রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। প্রাপ্ত বয়সে একটি কচ্ছপ ২৫-৩০ কেজি ওজনের হয়। এ কচ্ছপ ৭০-৮০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

শওকত আলী বাবু/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।