সৈকতে আবর্জনা পরিষ্কার করল হোটেল কর্মজীবীরা


প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ১০ মে ২০১৭

পরিচ্ছন্ন পর্যটনের আশায় সাগর ও বালিয়াড়ি পরিষ্কার রাখতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ‘সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম’ পরিচালনা করেছে কক্সবাজারের তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ সী পার্ল হোটেলের কর্মজীবীরা।

বাংলাদেশ ইনফ্রাকট্রাকসার ফাইনান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল) ও মিয়ামি এসোসিয়েটস (বিডি)’র সহযোগিতায় বুধবার বিকেল ৪টায় সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেন রয়েল টিউলিপ সী পার্ল হোটেলের মহাব্যবস্থাপক অলিভার ক্রোজ।

‘সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখি, পরিবেশ বাঁচাই’ স্লোগানে আয়োজিত কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তুলে ধরেন পরিচ্ছন্নতা দলের তত্বাবধায়ক ও হোটেলের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৭ বিলিয়ন টন আবর্জনা সাগরে জমা হয়। এটি আমাদের ইকো সিন্টেমকে ধ্বংস করছে। এতে প্রতিবছরই সাগরের হাজার হাজার প্রাণি মারা যাচ্ছে।

এর উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আগস্ট ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যাওয়া একটি তিমি মাছের পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে দেখা যায় মাছটির পেট ভর্তি ছিল পলিথিন, শপিং ব্যাগ, মাছ ধরার জাল। খাবার মনে করে মাছটি সাগরের আবর্জনাগুলো খেয়েছে। যা হজম হয়নি। ফলে মারা গেছে। মানব জাতিরাই সাগর ও পানি বিভিন্ন ভাবে দূষিত করে। যা সাগরে থাকা প্রাণিজগতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করছে।

তিনি একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, সাগরে পড়া অধিকাংশ আবর্জনাই ধ্বংস হয়না। একটি টিনের ক্যান ধ্বংস হতে ৩ বছর, সিগারেট বাট ধ্বংস হতে ১০ বছর, প্লাস্টিক ব্যাগ ধ্বংস হতে ১০০-৪০০ বছর, এ্যালোমিনিয়াম ক্যান ধ্বংস হতে ২ থেকে ৫শ বছর ও একটি মাছ ধরার জাল ধ্বংস হতে প্রায় ৬০০ বছর সময় লাগে। ফলে একটি একটি করে জমা আবর্জনা সৈকত ও তার পানি অপরিচ্ছন্ন করে প্রাণিজগতের বাস ঝুঁকিপূর্ণ করছে। একারণে প্রাণিজগতের জন্য নিরাপদ বাস নিশ্চিত করতে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা সবার দায়িত্ব। এ সচেতনতা সবার মাঝে ছড়াতে হোটেলের কর্মজীবীরা সৈকত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

মানবসম্পদ কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম, এফ এন্ড বি ম্যানেজার মহিউদ্দিন, হাউজ কিপিং ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ নাজিম, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ পারভেজ, এক্সিকিউটিভ নির্মল গোমেজ, আইটি ম্যানেজার মেহেদি, সিনিয়র ডিউটি ম্যানেজার জহির উদ্দিন, সহকারি মানবসম্পদ কর্মকর্তা মাসুদ খান ও সেল্স এক্সিকিউটিভ শামশুল আলমসহ দু’শতাধিক কর্মজীবী কক্সবাজার সৈকতের ইনানী পাথুরে বিচ এলাকার প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।