পুলিশের সহায়তায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের জমি দখল
সাতক্ষীরার তালায় একের পর এক জমি দখলে লিপ্ত রয়েছে তালা থানা পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইসলামকাটি ইউনিয়নের বদর মোড় এলাকায় পুলিশে সহযোগিতায় ২০ শতক জমি দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
ইসলামকাটি গ্রামের মৃত. আবুল কাশেম মোড়লের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শহিদুল ইসলাম (৪২) জাগো নিউজকে বলেন, আমার ভোগ দখলীয় ২০ শতক জমি থানা পুলিশের সহায়তায় দখল কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিপক্ষ বাহিনী।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমার ভোগ দখলীয় জমিতে রাম দা-লাঠি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে ২৫-৩০ জন। এর মধ্যে রয়েছে ক্রসফায়ারে নিহত চরমপন্থী নেতা বিদ্যুৎ বাছাড়ের একান্ত সহযোগী, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ ডজনখানেক মামলার আসামি ইসলামকাটি গ্রামের খায়রুল ইসলাম, উজ্জল, আলামিন, রায়হান, আইয়ুব, আকাম গাজী, আবুল হোসেন গাজী, নজু সরদার, নেছার গাজী, রফিকুল, লাভলুসহ আরও অনেকে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৬ সাল থেকে ভোগদখলীয় ৫৪ শতক জমির মধ্যে আমার ভাই, মা ও দুই বোন ৩৪ শতক জমি বিক্রি করে দেয় ১৯৯১ সালে। বাকি ২০ শতক জমির বড় বোন ও আমি। বর্তমানে আমার দখলে থাকা ২০ শতক জমিও পুলিশের সহযোগিতায় আজ দখল করে নিয়েছে। জমিতে থাকা পাট নষ্ট করে দিয়েছে। গাছের আম সব পেড়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী ও মাকে হুমকি দিয়ে যায় তালা থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার ওহিদুজ্জামান। বাড়িতে বলে যায়, জমিতে কেউ প্রবেশ করবে না, করলে ধরে নিয়ে মামলায় ঢুকানো হবে। এরপর সন্ধ্যায় থানায় ডেকে একই কথা বলেন। জমি দখল কার্যক্রমের পর আবুল হোসেন বাড়িতে এসে বলে যায়, জমিতে গেলে মেরে মরদেহ গুম করে দেব।
তবে নেতৃত্ব দিয়ে জমি দখল ও হুমকির বিষয়ে ইসলামকাটি এলাকার খায়রুল ইসলাম বলেন, জমি দখলের কার্যক্রমের বিষয়টি আমি জানি না। আমি ঘের নিয়ে ব্যস্ত।
অভিযোগের বিষয়ে তালা থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার ওহেদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, আদালতে একটি মামলা রয়েছে। সেখানে স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। এ জন্য আমি গিয়েছিলাম। তবে জোরপূর্বক জমি দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। জমিটি হাফিজুর রহমান ২৩ বছর ধরে ভোগ দখল করছেন। ইতোমধ্যে শহিদুল ইসলাম একটি ডিসিআর নিয়ে জমিটি দখলের চেষ্টা করছেন।
পুলিশের সহযোগিতায় জমি দখলের বিষয়ে জানতে তালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আকরামুল ইসলাম/এএম/এমএস