স্পিডবোটে সন্তানের জন্ম দিলেন মা
দেশের একমাত্র ডিজিটাল আইলেন্ড মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী মিয়াজিপাড়ার মোহাম্মদ হাসেমের মেয়ে শারমিন আকতার (২৪)। সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তাকে স্বামী মোহাম্মদ সোহেলের বাড়ি পাশের ইউনিয়ন হোয়ানকের মোহরাকাটা থেকে বাবার বাড়ি এনে রাখা হয়। সেখানে সোমবার ভোররাত রাত ৩টার দিকে প্রসব বেদনা উঠে সন্তানসম্ভবা শারমিনের।
স্বাভাবিক প্রসব না হওয়ায় সকাল ৮টায় তাকে আনা হয় বড় মহেশখালী গুলগুলিয়া পাড়া এফ ডাব্ললিউসিতে। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা শারমিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
অনুন্নত সড়ক যোগাযোগের একমাত্র ভরসা টমটম (ইজিবাইক) নিয়ে তাকে কোনোমতে মহেশখালী জেটিঘাটে এনে তোলা হয় স্পিডবোটে। বোটটি দ্রুত চালিয়ে কক্সবাজারস্থ ৬ নং ঘাটে পৌঁছার আগেই সকাল ১০টার দিকে বোটেই শারমিন একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
এরপর তাকে আরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে না নিয়ে মা-ছেলেকে মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এই খবর জানাজানি হওয়ার পর মা-ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।
শারমিনের মা মিনুয়ারা জানান, মহেশখালী ঘিরে সরকারের নানা উন্নয়নের কথা শুনেছি। আমরা মূর্খ-গরিবরা এসব বুঝি না। এটুকু বুঝি আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার থাকলে শারমিনকে হয়তো ভোগান্তির মধ্য দিয়ে বোটে বাচ্চা জন্ম দিতে হতো না।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, শারমিনের ঘটনাটি জানার পর তারা মহেশখালী হাসপাতালে অ্যাম্বোলেন্সের জন্য যোগাযোগ করে। কিন্তু গাড়িটি থাকলেও চালক পদায়ন না হওয়ায় দুর্দশার শিকার হতে হয়েছে গর্ভবতী মা শারমিন আকতারকে।
তবে বর্তমানে মহেশখালী হাসপাতালে থাকা মা ও ছেলে সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আর এম ও ডা. মাহাফুজুল হক।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/আরআইপি