কুড়িগ্রামে গলদা চিংড়ি চাষে সাফল্য


প্রকাশিত: ০৪:৩৭ এএম, ০৯ মে ২০১৭

দক্ষিণাঞ্চলের লোনা পানিতে বেড়ে ওঠা সাদা সোনা বা গলদা চিংড়ি এখন পরীক্ষামূলকভাবে কুড়িগ্রামের স্বাদু পানিতে চাষ উপযোগী করে সাফল্য অর্জন করেছে কুড়িগ্রাম সরকারি মৎস খামার। চিংড়িচাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প-২য় পর্যায়ের আওতায় এই সফলতা দেখিয়েছেন খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা।

খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা জানান, ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সদর উপজেলা মৎস বীজ উৎপাদন খামারে স্বাদু (মিঠা) পানিতে গলদা চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলার দুমকি এলাকা থেকে পায়রা নদীর মা গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করা হয়। কক্সবাজার থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ট্রাকে করে লোনা পানি ( ব্রাইন ওয়াটার) নিয়ে চিংড়ি হ্যাচারিতে হ্যাচিং শুরু করা হয়।

তিনি আরও জানান, গত আড়াই বছর ধরে নিবিড়ভাবে গবেষণার পর হ্যাচারিতে ৩৫দিন বয়সী ৪ থেকে ৫ লাখ রেনু বা পোস্ট লার্ভা জীবিত পাওয়া যায়। চলতি বছর নিজস্ব খামারে গলদা চিংড়ি চাষ করে সফলতা আসে।

এবার রেনু ও পোনা সরবরাহ করে জেলার ৯ উপজেলার স্বাদু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। প্রাথমিকভাবে ৯ টন গলদা চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জেলা মৎস কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, স্বাদু পানি উপযোগী গলদা চিংড়ি চাষে সফলতা আসায় জেলাকে গলদা চিংড়ি উৎপাদন ও রফতানিকারক জেলা হিসেবে পরিচিতি করতে অগ্রগামী মাছচাষিদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।

নাজমুল হোসাইন/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।