রোজার দেড় মাস আগেই খুলনার ছোলার বাজার অস্থিতিশীল


প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ০৪ মে ২০১৫

রোজা আসতে এখনও বাকি দেড় মাস। কিন্তু, এখনই বাজারে রোজার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। খুলনার মোকামগুলোতে ছোলার দাম বাড়ছে হু হু করে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণ প্রতি দাম বেড়েছে ১শ টাকা করে। অধিক মুনাফার লোভে অসাধু ব্যবসায়ীদের মজুদ ও আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বেড়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

খুলনার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, অষ্ট্রেলিয়ায় উৎপাদিত ছোলা গত সপ্তাহে মণ প্রতি ১ হাজার ৮শ টাকা দরে বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে মণ প্রতি বেড়েছে ১শ টাকা।

নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ সাকো এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি-খুচরা সব বাজারেই বেড়েছে ছোলার মূল্য। এ অঞ্চলে অষ্ট্রেলিয়া ও কানাডায় উৎপাদিত ছোলার চাহিদাই বেশি। মে মাসের শেষ দিক থেকে রমজানের জমজমাট বাজার শুরু হবে।

তিনি বলেন, গেল রমজানে এ প্রতিষ্ঠান ৯০ মেট্রিক টন ছোলা বিক্রি করে। এবারের রমজানে মূল্য বাড়লে বিক্রির পরিমাণ কমবে।

পাইকারি ডাল ব্যবসায়ী শাহ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক প্রদীপ সাহা জানান, চট্টগাম থেকে আসা ছোলার পরিমাণ কম। সে কারণে মূল্য বেড়েছে। আগামী ২০-২৫ মে নাগাদ তাদের রোজার বাজারের প্রস্তুতি শুরু হবে।

খুলনার বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা সিদ্দিক স্টোরের মালিক সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৫৫ টাকা দাম থাকলেও এ সপ্তাহে বেড়েছে ৫ টাকা।

তিনি জানান, মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ছোলার বিক্রির পরিমাণ কমেছে।

স্থানীয় অন্যান্য সূত্রগুলো বলেছে, অসাধু ২/১ জন ব্যবসায়ী ছোলা মজুদ করতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী কমল দাস জানান, অষ্ট্রেলিয়ার বাজারে বুকিং দর বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে এ দেশে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানান, গত রমজানে খোলা বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা স্বল্প লাভে বিক্রি করে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে টিসিবি রোজার মাঝামাঝি সময়ে মূল্য কমায়।

আলমগীর হান্নান/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।