গাজীপুরে বাবা-মেয়ের আত্মহত্যা : আটক একজনের মুক্তি


প্রকাশিত: ০৪:২৫ এএম, ০৪ মে ২০১৭

বিচার না পেয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বাবার আত্মহত্যার ঘটনায় আটক শহিদুল ইসলাম শহীদ মুক্তি পেয়েছেন।

আটক শহীদ মামলার আসামি শহীদ নন বলে বাদী শনাক্ত করার পর বুধবার রাতে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলাপুর রেলওয়ে থানার এসআই আলী আকবর বলেন, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বাবা-মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় আরেক আসামি গ্রেফতারের খবর পেয়ে শ্রীপুরে যাই। পরে আটক ওই ব্যক্তিকে মামলার বাদী হালিমা বেগমকে দিয়ে শনাক্ত করানোর সময় বাদী তাকে আসামি হিসেবে শনাক্ত করেননি। পরে ওই ব্যক্তিকে শ্রীপুর থানা পুলিশের কাছ রেখে চলে আসি।

শ্রীপুর থানার ইনস্পেক্টর (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শনাক্ত করার সময় বাদী জানান আটক শহীদ তার মামলার আসামি নন। তিনি অন্য শহীদ। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এর আগে শ্রীপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শ্রীপুর কর্ণপুর এলাকা থেকে স্থানীয় নাসির উদ্দিনের ছেলে শহীদুল ইসলাম শহীদকে আটক করেছিল শ্রীপুর থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পালিত মেয়ে আয়েশা আক্তারকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে শ্রীপুরের সিটপাড়া গ্রামে দিনমজুর হযরত আলী আত্মহত্যা করেন। হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা বেগমের অভিযোগ- তার মেয়েকে বাড়ির থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় বখাটে ফারুক। এলাকার মানুষ টের পেয়ে ওই মেয়েকে রক্ষা করে।

এ ঘটনা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও থানা পুলিশকে জানিয়ে প্রতিকার না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন হযরত আলী।

এদিকে ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় হালিমা বেগম ওই ইউপি সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে কমলাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার ওই মামলায় আবুল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে রেল পুলিশ।

আমিনুল ইসলাম/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।