আমি বাঁচতে চাই, দয়া করে আমাকে বাঁচান
আমি বাঁচতে চাই। দয়া করে আমাকে বাঁচান। সামনে যাকেই দেখছে তার কাছে এভাবেই আকুতি করছে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ১০ বছর বয়সী রেশমী।
সে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার দরিদ্র ভ্যানচালক লাল চাঁদ শেখের মেয়ে। স্থানীয় স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে সে। তিন সন্তানের মধ্যে রেশমী সবার বড়।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় রেশমীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্ত বিষেজ্ঞ ডাক্টার কামরুজ্জামানের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। ওই সময় ডাক্টার ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দেন রেশমীকে।
২৫ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় রেশমীকে। পরে টাকার অভাবে ২৭ এপ্রিল ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে চলে আসে রেশমী।
স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, রেশমী ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। ডাক্টাররা জানিয়েছেন এখন থেকেই সঠিক চিকিৎসা পেলে ভালো হতে পারে রেশমী। কিন্তু এতে প্রয়োজন প্রায় ৬ লাখ টাকা। একজন দরিদ্র ভ্যানচালক বাবার পক্ষে এত টাকা যোগার করা সম্ভব নয়। তাই রেশমীর বাবা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
রেশমীর বাবা মো. লাল চাঁদ শেখ বলেন, তিন সন্তানের মধ্যে বড় রেশমী। সব সময় হাসি মুখে চলা ফেরা করতো রেশমী কারো সঙ্গে কোনো ঝগড়া-বিবাদ করতো না। আল্লাহ কেন যে ওকে এতো বড় অসুখ দিল। রেশমী আর আগের মতো হাসি খুশিভাবে চলা ফেরা করে না। ঠিক মতো খাওয়া দাওয়াও করতে পারে না। আমি আমার মেয়েকে বাঁচাতে চাই। আবার হাসি খুশি ভাবে রেশমী সবার মাঝে ঘুরে বেড়াবে আমি সেটা দেখতে চাই।
তিনি বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতাল থেকে বলেছে যত তাড়াতাড়ি রেশমীর চিকিৎসা শুরু করা যাবে ততই ভালো।
রেশমীকে সাহায্যে পাঠানোর ঠিকানা মো. লাল চাঁদ শেখ, ব্যাংক হিসাব নং- ৩৪১২০৯৮৯, সোনালী ব্যাংক বহরপুর শাখা, বালিয়াকিান্দি, রাজবাড়ী।
রুবেলুর রহমান/এমএএস/এমএস