করিমগঞ্জে গৃহবধূকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূকে গায়ে কোরোসিন ফেলে আগুন দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এতে তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাপিয়া আক্তার (১৯) নামে ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলার উলুখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত গৃহবধূর দেবর মাশেকুল হককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নোয়াবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ উলুখলা গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে আশিকুল হকের সাথে একই এলাকার আব্দুল মজিদের মেয়ে পাপিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নানা অত্যাচার করতো।
সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে তার শ্বাশুড়ি পারুল আক্তার ও দেবর মাশেকুল হক ওড়না দিয়ে হাত-মুখ বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পারুলের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পাপিয়ার দেবর মাশেকুল হককে আটক করা হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ/এমএএস/আরআইপি